|| সংস্কৃতির মঞ্চ প্রতিবেদন ||
লতা মঙ্গেশকর পৃথিবীতে নাই এটা ভাবাই যায় না। আমি ভাগ্যবান যে লতাজির সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল, কথা বলতে পেরেছিলাম।
বাংলাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান হয়ে এ কথাগুলি বলছিলেন। তার মৃত্যুতে এ সময় বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনেও শোকের ছায়া নামে।
সাবিনা ইয়াসমিন স্মৃতিচারণ করে আরো বলেন, সেদিনের স্মৃতি খুব মনে পড়ছে। এত বড় মাপের শিল্পী, কিন্তু কাছে গিয়ে বোঝার উপায় নেই। তিনি যত বড় শিল্পী ছিলেন, মানুষ হিসেবে ছিলেন ততই বিনয়ী।
রোববার সকালে ভারতের মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে করোনা পরবর্তী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী লতা মুঙ্গেশকর।
ভারতের ইন্দোরের ১৯২৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মাত্র ১৯ বছর বয়সে ‘মজবুর’ চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেয়ার মাধ্যমে প্লেব্যাকে হাতেখড়ি হয় তার। পদ্মভূষণ, দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ড, ফিল্মফেয়ার আজীবন সম্মাননা, পদ্মবিভূষণ, এনটিআর জাতীয় পুরস্কার এবং ভারতের সর্বোচ্চ সম্মাননা ভারতরত্ন পেয়েছেন তিনি। এছাড়া ফ্রান্সের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘অফিসার দে লা দি’ অনারসহ দেশি-বিদেশি অসংখ্য পুরস্কার-সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এই কিংবদন্তি। ১৯৭৪ সালে সবচেয়ে বেশি গানের শিল্পী হিসেবে গিনেস বুকেও স্থান পান তিনি।
জেটি//এফএস