||সংস্কৃতির মঞ্চ প্রতিবেদন||
মারা গেছেন হলিউডের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ তারকা অভিনেতা সিডনি সিডনি পটিয়ার। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। জীবনের শেষ সময়টা কাটান বাহামায়। আর সেখানেই শুক্রবার তিনি মারা যান বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রেড মিচেলের কার্যালয়।
সিএনএন সিডনি পটিয়ারকে ‘হলিউডের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মুভি স্টার’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। মার্কিন উপপ্রধানমন্ত্রী চেস্টার কুপার তাঁর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘তিনি ছিলেন একজন আইকন, একজন মেন্টর, একজন যোদ্ধা এবং সর্বোপরি একজন জাতীয় সম্পদ।’
সিডনি পটিয়ার ফ্লোরিডার মিয়ামিতে ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯২৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা-মা রেগিনাল্ড ও এভলিন পোইটিয়ার্স ক্যাট আইল্যান্ডের (বাহামা) সাধারণ কৃষক ছিলেন। সিডনিই প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ যিনি সেরা অভিনেতা হিসাবে অস্কার জিতেছিলেন। ‘লিলিস অব দ্য ফিল্ড’ সিনেমাতে অভিনয় করে ১৯৬৩ সালে অস্কারে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান তিনি।
সিডনি পোয়াটিয়ে ১৬ বছর বয়সে যোগ দেন আমেরিকান নিগ্রো থিয়েটারে। এরপর ‘ব্ল্যাকবোর্ড জঙ্গল’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন। সিনেমাটি ১৯৫৫ সালে মুক্তি পায়। এতে একজন স্কুল ছাত্রের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি।
১৯৭৪ সালে সিডনি পটিয়ারকে সম্মানসূচক নাইটহুড উপাধিতে ভূষিত করেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ১৯৯২ সালে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতা হিসেবে আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার পান তিনি।
সত্তর দশকের শেষের দিকে নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চালু করেন সিডনি পটিয়ার। এরপর বেশ কিছু চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘স্টার ক্রেজি’ (১৯৮০), ‘হাঙ্কি পাঙ্কি’ (১৯৮২), ‘ফাস্ট ফরওয়ার্ড’ (১৯৮৫), ‘গোস্ট ড্যাড’ (১৯৯০)।
১৯৯৭ সালে জাপানের বাহমিয়ান প্রতিনিধি হিসেবে সিডনি পটিয়ারকে নিযুক্ত করা হয়। ২০০৯ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘মেডল অব ফ্রিডম’-এ সম্মানিত করেন।
এসএ//এফএস