|| বঙ্গকথন প্রতিবেদন ||
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ফয়সাল আহমেদ নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
পূর্ব বিরোধের জেরে অপূর্ব চন্দ্র দাস ও তপু চন্দ্র দাস নামে চাচা-ভাতিজা মিলে হত্যা করেছে কিশোর ফয়সালকে।
বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতারদের দেয়া তথ্যে নিখোঁজের আট দিন পর উপজেলার ঋষিপাড়া এলাকার একটি ডোবা থেকে ফয়সালের মরদেহটি উদ্ধার করে র্যাব ।
এর আগে এ ঘটনায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে অপূর্ব চন্দ্র দাস ও তপু চন্দ্র দাস নামে নামে সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-১১ অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা এসব তথ্য জানান।
ব্রিফিংয়ে তিনি আরও জানান, উপজেলার লোহাপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে ফয়সাল গত ২৬ জানুয়ারি রাত ৯টায় মোবাইলে কল পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফয়সালের সন্ধান না পেয়ে তার মামা মানিক দুদিন পর সোনারগাঁ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এ ঘটনায় প্রযুক্তির মাধ্যমে শনাক্ত করে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা চাচা-ভাতিজা অপূর্ব ও তপুকে বৃহস্পতিবার রাতে সোনারগাঁ পৌর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে পূর্ব বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা। মোবাইল ফোনে ফয়সালকে ডেকে এনে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ গুমের উদ্দেশ্যে ডোবায় ফেলে দেয় বলে র্যাব জানায়। পরে তাদের দেয়া তথ্যে ডোবা থেকে ফয়সালের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১১ অধিনায়ক আরো জানান, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডে আর কেউ জড়িত আছে কিনা র্যাব তা খতিয়ে দেখছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জেটি//এফএস