|| বঙ্গকথন প্রতিবেদন ||
অভিযোগ মাথায় নিয়ে আজ বিদায় নিচ্ছে কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন।
এ কমিশন তাদের মেয়াদের পাঁচ বছরে অনিয়ম, দুর্নীতি, বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনসহ নিজেদের মধ্যে কলহের নানা নেতিবাচক কথার ও কাজের নজির সৃষ্টি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলই শুধু নয়, নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকেও অনেক অভিযোগ রয়েছে।
এই পাঁচ বছরে অসংখ্যবার এ কমিশনের পদত্যাগের দাবি করে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে ইসির বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের দাবি করেন বিশিষ্ট নাগরিকরা। ইসির বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের শরিকরাও সংসদের বৈঠকে সমালোচনায় মুখর ছিলেন।
আলোচনা-সমালোচনাকে পেছনে ফেলে ১৩mফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা জানিয়েছেন, নিরপেক্ষতা এবং সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন তারা।
সংবিধানের নির্দেশনা মোতাবেক ইসির মেয়াদ পাঁচ বছর। সে হিসাবে আজ বর্তমান ইসির শেষ দিন। চলছে নতুন ইসি গঠনের প্রক্রিয়া। ইসি নিয়োগ আইনানুযায়ী, নতুন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে বলেন, সাক্ষাৎকালে নির্বাচনী কার্যক্রমসহ কমিশনের বিভিন্ন কার্যক্রম ও উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করা হয়। তারা দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা ও দিক নির্দেশনার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
এবি//এফএস