||সংস্কৃতির মঞ্চ প্রতিবেদন||
উপমহাদেশের প্রবাদপ্রতিম নৃত্যব্যক্তিত্ব পণ্ডিত বিরজু মহারাজ মৃত্যুবরণ করেছেন। রোববার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুতই দিল্লির সাকেত হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বিরজু মহারাজের। বেশ কিছুদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।
কত্থকের ‘মহারাজা’ পরিবারে ১৯৩৭ সালে তার জন্ম হয়। সাত পুরুষ ধরে তাঁদের পরিবারে কত্থক নাচের চর্চা। বাবা অচ্চন মহারাজই ছিলেন বিরজুর গুরু।
শিশুশিল্পী হিসাবেই বাবার সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নিতেন তিনি। কৈশোরে পা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ‘গুরু’ তকমা জুড়ে গিয়েছিল তাঁর নামের আগে। রামপুরের নবাবের দরবারে নৃত্য পরিবেশন করতে বিরজু মহারাজ।
১৯৮৩ সালে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পদ্মবিভূষণ পান বিরজু মহারাজ। পেয়েছেন কালীদাস সম্মানও। এই কত্থক গুরু বেশ কিছু ছবিতে কোরিওগ্রাফির দায়িত্বভার সামলেছেন। কাজ করেছেন সত্যজিৎ রায়ের ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’ ছবিতে।
নতুন শতাব্দীতে ‘দেবদাস’, ‘বাজিরাও মস্তানি’-র মতো ছবিতে বিরজু মহারাজের কোরিওগ্রাফি মুগ্ধ করেছে আপামর ভারতীয়কে। ‘বিশ্বরূপম’ ছবিতে কোরিওগ্রাফির জন্য চলচ্চিত্রে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন বিরজু মহারাজ।
এসএ//এফএস