|| বিদেশ-বিভূঁই প্রতিবেদন ||
পুতিনের উদ্দেশ্যে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন শান্তি বজায় রাখতে চায়। কূটনৈতিক আলোচনা ও পন্থার মধ্য দিয়েই সেই কাজ চালিয়ে যেতে চায়। তবে রাশিয়ার হাতে কোনোভাবেই নিজেদের একখণ্ড মাটিও তুলে দেয়া হবে না।
পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী-অধ্যুষিত দোনেস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর সেখানে ‘শান্তি রক্ষার জন্য’ সেনা পাঠিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেন।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেন জেলেনস্কি। ইতোমধ্যেই তিনি জার্মানি, ফ্রান্স এবং ইউক্রেনের মিত্র দেশগুলোর শীর্ষ নেতৃত্বকে জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে মিত্র দেশগুলোকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।
রুশ প্রেসিডেন্টের এমন সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। তারা বলেছেন, বিচ্ছিন্ন অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট পরোক্ষভাবে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধেরই আভাস দিলেন।
তবে অবিলম্বে এই ঘোষণা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। পুতিনের ওই ঘোষণার পর জরুরি বৈঠকে বসেন ইইউ ও ন্যাটো সদস্যরা। পরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট ও ইইউ কাউন্সিল প্রধান চার্লস মিশেল। এদিকে বিচ্ছিন্ন অঞ্চলকে স্বীকৃতি দেয়ার পর যুদ্ধের আশঙ্কায় দোনেস্ক ও লুহানস্ক ছাড়তে শুরু করেছেন ইউক্রেনের সাধারণ বাসিন্দারা।
জেটি//এফএস