||সংস্কৃতির মঞ্চ প্রতিবেদন||
কিংবদন্তি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে জরুরিভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিনেতার স্বজনরা। তার মেয়ে কোয়েল আহমেদ জানান, বুধবার সকালে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে তার বাবাকে ভর্তি করা হয়েছে।
‘দুদিন ধরে আব্বার শরীরটা খারাপ। আজ একটু বেশি। তাই হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। চিকিৎসক বলেছেন, আব্বার অক্সিজেন লেভেল কমে গেছে। তা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। একদিন পর্যবেক্ষণ করে উনার শরীরের পুরো অবস্থা জানাবেন ডাক্তার।’ বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়ে এটুকুই জানিয়েছেন কোয়েল।
আজগর আলী হাসপাতালের ডা. আতাউর রহমান খানের তত্ত্বাবধানে এটিএম শামসুজ্জামানের চিকিৎসা চলছে। এর আগেও কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এটিএম শামসুজ্জামান।
১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর বিষকন্যা চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু। প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের জন্য। ছবির পরিচালক ছিলেন নারায়ণ ঘোষ মিতা, এ ছবির মাধ্যমেই অভিনেতা ফারুকের চলচ্চিত্রে অভিষেক। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনি লিখেছেন।
গুণী এই অভিনেতার চলচ্চিত্রে পদার্পণ ১৯৬৫ সালের দিকে। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনা আসেন তিনি। ১৯৮৭ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘দায়ী কে’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। তিনি রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’তে অভিনয় করেন ও শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
এমএইচ//