||বঙ্গকথন প্রতিবেদন||
দুই বছর আগে স্বামীকে তালাক দিয়ে শিশু সন্তাকে রেখে আরেকজনকে বিয়ে করেছিলেন। এতোদিন এ নিয়ে আর কোনো কিছু না ঘটলেও দু’বছর পর হঠাৎই অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড বা গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে আত্মহননের পথ বেছে নেন তিনি। শনিবার রাতে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শিরিন বেগম নামের ওই নারী।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবীর জানান, শহরের চকলোকমান এলাকার মৃত নজির উদ্দিনের মেয়ে শিরিন বেগম প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে বছর দুয়েক আগে শাজাহানপুর এলাকায় পুনরায় বিয়ে করেন। হঠাৎ করেই গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে শনিবার তিনি সাতমাথা এলাকায় এসে যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন। এসময় সেখানে থাকা পুলিশ সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরা তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালে যাবার পথে তিনি মুঠোফোনে তার বোনকে বলেন, ‘নিজেই স্বামীকে তালাক দিয়েছি। আর কোনোদিন তোদের সাথে দেখা হবে না। চিরতরে চলে যাচ্ছি। পারলে এসে দেখে যাস। আর আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী থাকবে না।’ এটুকু বলার পর তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। রাতে চিকিৎসাধীন ওই নারীর মৃত্যু হয়।
এমএইচ//