বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে ফাইমা বেগমকে শ্বাসরূধ করে হত্যা করেছে তার স্বামী সাইফুল ইসলাম। গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে সাত মাস ধরে আত্মগোপনে থাকা স্বামী সাইফুল ইসলামকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার সাইফুল উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের সান্দিড়া ব্যাপারীপাড়ার আরমান আলীর ছেলে। গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় তাকে আদমদীঘি থানায় আনা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, টাকার নিয়ে গৃহবধূ ফাইমা বেগম ও স্বামী সাইফুল ইসলামের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরূধ করে ফাইমাকে হত্যা করেন স্বামী সাইফুল ইসলাম। মরদেহ কম্বল দিয়ে ঢেকে রেখে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যান তিনি। কয়েকদিন পর ঘরে দুর্গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরা নিহতের বড় বোন রোজিনা বেগমকে বিষয়টি জানায়।
তারা তালা ভেঙে ফাইমার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে তারা মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর থেকে সাইফুল আত্মগোপনে থাকেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে ঢাকার গুলশান এলাকার নিউ গুলশান প্লাজার একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে আদমদীঘি থানায় হাজির করা হয়।
সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আব্দুল ওয়াদুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত দুই বছর আগে সান্তাহার ইয়ার্ড কলোনির মৃত আইনাল হকের মেয়ে ফাইমার সঙ্গে সান্দিড়া ব্যাপারীপাড়ার আরমান আলীর ছেলে সাইফুল ইসলামের বিয়ে হয়। ফাইমা সাইফুলের ২য় স্ত্রী এবং ফাইমারও দ্বিতীয় স্বামী সাইফুল।বিয়ের বছর যেতে না যেতে তাদের মনোমালিন্যের কারণে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। সাইফুল তাকে দেনমোহর ও ধারের পাওনা টাকা বুঝিয়ে দেন।
তিনি আরও বলেন, বিচ্ছেদের পর তাদের মধ্যে ফের সম্পর্ক স্থাপিত হলে আবারও ফাইমাকে বিয়ে করেন সাইফুল। সেসময় এর আগে ফেরত দেয়া দেনমোহর ও ধারের ওই টাকা নেয়ার জন্য ফাইমাকে চাপ দেন সাইফুল। তারপর থেকে দুজনের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি লেগেই থাকত। একপর্যায়ে ফাইমাকে হত্যা করে সাইফুল পালিয়ে যান। আত্মগোপনে থাকা সাইফুলকে সাত মাস পর ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।