।। জেলা প্রতিবেদক খুলনা ।।
সীমান্ত বন্ধ কিন্তু ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে আসছে বহু মানুষ। রাতে খুলনা ঘেঁষা সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত করছে অনেকে। বিজিবি দুয়েকজনকে ধরলেও বেশিরভাগই থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। চিকিৎসকরা বলছেন, অবৈধ চলাচল বন্ধ না হওয়ায় সীমান্তের জেলাগুলোতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দেশের সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরার সীমান্ত দিনে যতটা নিরাপদ, রাত বাড়ার সাথে সাথে ততটায় অনিরাপদ। স্থলবন্দর বন্ধ থাকলেও অবৈধ পথে যাতায়াত বেড়েছে। মানুষ পারাপারের সঙ্গে চলছে রমরমা মাদকে ব্যবসা। চার জুন গভীর রাতে খবর এলো সাতক্ষীরার ভোমরা, তলুইগাছা ও হিজলদী সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসছে বেশ কয়েকজন। অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে বিজিবি। তাদের পাঠানো হয় কোয়ারেন্টিনে।
গেল আট দিনে সাতক্ষীরার সীমান্ত থেকে বিজিবি আটক করেছে ৩১ জনকে। এত নিরাপত্তার পরও অনায়াসে যাতায়াত করছে সীমান্তের পরিবারগুলো। অনেক পরিবারের সদস্য বসবাস করছে দুই দেশে। অনেক ভারতীয় চিকিৎসাও নেন বাংলাদেশের হাসপাতালে। এতে নেই কোন বাধা, নেই কোন ধরাছোঁয়া। এভাবেই ভারত থেকে দেশের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে মানুষ আর সাথে করে নিয়ে আসছে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট। এজন্য সীমান্ত জেলাগুলো এখন করোনার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তবে সাতক্ষীরা বিজিবি ৩৩ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আল মাহমুদ বলছেন, করোনার সংক্রমন রোধে সীমান্তে কড়া নজরদারি রয়েছে। যারা আটক হচ্ছে তাদের পাঠানো হচ্ছে কোয়ারেন্টিনে। গত কয়েকদিনে ভারত থেকে আসার সময় সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক মানুষকে আটক করা হয়েছে।
এসএফ