করোনা সংক্রমনের কারনে এর আগে ২ দফায় পিছিয়েছে সিলেট-৩ আসনের উপ –নির্বাচন। আগামীকাল শনিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সিলেট-৩ আসনে ভোটগ্রহণ।
সিলেটের তিনটি উপজেলা দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্জুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ নিয়ে গঠিত এ আসনে ভোট অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ করতে পর্যাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তারা নির্বাচনের আগে ও পরে সবমিলিয়ে পাঁচদিন মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন।
এ উপ-নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও দলটির সাবেক সংসদ সদস্য ও দল থেকে সদ্য বহিষ্কৃত বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শফি আহমদ চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ছেন।
উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাবিবুর রহমান হাবিব। আরেক যুক্তরাজ্য প্রবাসী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী। আছেন অন্য তিন প্রার্থী- হাবিব, আতিক ও শফি।
তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫২ হাজার। টানা তিনবার এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির আব্দুল মুকিত খান। ২০০১ সালের নির্বাচনে মুকিত খানকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বিএনপির শফি আহমদ চৌধুরী।
গত ১১ মার্চ সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান।
এ সংসদ সদস্যের মৃত্যুর পরই আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, গত ১৪ জুলাই এ আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতির কারণে সে তারিখ পিছিয়ে ২৮ জুলাই ভোটের নতুন তারিখ দেওয়া হয়। কিন্তু সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায়ও পিছিয়ে যায় উপ-নির্বাচন।
এরপর এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে গত ৫ আগস্ট বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের একক বিশেষ হাইকোর্ট বেঞ্চ ১০ আগস্টের পর থেকে ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দেন।