।।জেলা প্রতিবেদক সিরাজগঞ্জ।।
তুলনামূলক কম দামে ভালো মানের দুধ। লাইনে দাঁড়িয়ে কিনছেন ক্রেতারা। শুধু তাই নয়, পৌর ও উপজেলা পর্যায়ে এ ধরনের গাড়িতে পাওয়া যাবে ৭০ টাকায় এক ডজন ডিম। এ কার্যক্রম সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে খামারে উৎপাদিত দুধ সরাসরি ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে পরিচালিত এ কার্যক্রমে খামারি ও ভোক্তা লাভবান হচ্ছেন।উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, এলডিডিপি প্রকল্প ও শাহজাদপুর ডেইরি এসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সর্বাত্মক লকডাউন এবং পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে জনসাধারণের প্রাণিজ পুষ্টি নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ যানবাহনের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে দুধ বিক্রির কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকারের এক সপ্তাহের লকডাউনে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে উৎপাদিত এখন ভ্রাম্যমাণ ভ্যান গাড়িতে বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথমদিকে দুটি গাড়িতে দুধ রাখা হয়েছে ১৫০ লিটার।
বর্তমানে প্রতিদিন দুটি ভ্রাম্যমাণ ভ্যান গাড়িতে ১ হাজার লিটার দুধ পৌর ও উপজেলার বিভিন্নস্থানে ন্যায্যমূল্যে ৪০ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে। পাশাপশি ৪ হাজারের বেশি মুরগির ডিমও বিক্রি হচ্ছে। তুলনামূলক দুধ ও ডিমে দাম কম হওয়ায় দিনদিনই বাজারেও দুধের চাহিদা বাড়ছে। ভ্রাম্যমাণ গাড়ির সঙ্গে রয়েছেন একজন খামারি ও প্রাণীসম্পদ অফিসের একজন স্টাফ। মিল্কভিটার পরিচালক ও শাহজাদপুর ডেইরি এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সামাদ ফকির বলেন, লকডাউনে শুরু হওয়ায় খামারিরা অনেকটা দুর্ভোগে পড়েছে। বাজারে দুধের দাম ৬০ টাকা হলেও ৪০ টাকা ধরে বিক্রি করতে হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে। তবে দুধ বিক্রির টাকা দিয়েও মিলছে না গো খাদ্য। গাড়ি চলাচল বন্ধ হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে খামারিরা।
এসএফ