||বঙ্গকথন প্রতিবেদন||
যশোরের অভয়নগরে স্কুলছাত্রীকে সাংবাদিকতার পরিচয়পত্র করিয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে দুই যুবক। ধর্ষণের ভিডিওধারণ করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ ভূক্তভোগী ছাত্রীর। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে প্রতারক দুই যুবকের বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) গ্রেফতার দুই যুবককে যশোর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বাদী স্কুলছাত্রীর মা অভিযোগ করেন, তার মেয়ে উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। সে বাংলাদেশ বেতারের সংগীতশিল্পী। চার মাস আগে স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকতার কার্ড করার জন্য মাহাবুব নামে একজনের সঙ্গে তার মেয়ের যোগাযোগ হয়। পরে তার মেয়ের কাছ থেকে মাহাবুব দুই কপি ছবি ও জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি সংগ্রহ করেন। ২১ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ‘সাংবাদিকতার ফরম’ পূরণের জন্য মাহাবুব তার মেয়েকে উপজেলার চলিশিয়া গ্রামের একটি মৎস্য ঘেরের অফিসে আসতে বলেন। অফিসে পৌঁছানোর পর তার মেয়েকে বস্ত্রহীন করে ধর্ষণ করে এবং মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিওধারণ করে মাহাবুব। ধর্ষণের পর তাকে হুমকি দেওয়া হয়, ঘটনাটি কাউকে জানালে ধারণ করা ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হবে।
অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম শামীম হাসান জানান, কয়েক দিন পর মাহাবুব ও অনিক বাঘা নামের আরেক যুবক তার মেয়েকে স্থানীয় কাঁচা বাজারের পেছনে একটি স’মিলে দেখা করতে বলেন। তার মেয়ে সেখানে পৌঁছালে মাহাবুব ও অনিক বাঘা মোবাইল ফোনে ধারণ করা ধর্ষণের ভিডিও ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ডিলিট করার প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রতারক মাহাবুব ‘এমডি নাসির হোসেন’ নামের একটি ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে তার মেয়ের অশ্লীল ছবি ও ধর্ষণের ভিডিও ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে মেয়ের কাছ থেকে ঘটনা জানতে পেরে অভয়নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী মেয়ের মা। পরে প্রতারক মাহাবুব ও তার সঙ্গী অনিক বাঘাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।