||বঙ্গকথন প্রতিবেদন||
সরকারি কোনো বাহিনী কিংবা দফতরে চাকরির পরীক্ষায় অংশ নেয়া ব্যক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট দফতরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সেজে কথা বলতেন মেহেরুল ইসলাম। সংশ্লিষ্ট দফতরের ওয়েবসাইট হ্যাক করে চাকরিপ্রার্থীদের ফলাফল এসএসএস করে পাঠাতেন কামরুল হাসান। এরপর নিয়োগের জন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন দুজন। এমন অভিনব প্রতারণা করে গত ৭ বছর ধরে বগুড়ার এই প্রতারক চক্র প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে। রোববার দুই প্রতারককে আটক করেছে র্যাব-১২।

দুপুরে র্যাবের বগুড়া স্পেশাল কোম্পানিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে র্যাব-১২’র অধিনায়ক রফিকুল হাসান গনি জানান, মেহেরুল ইসলাম একটি বাহিনী থেকে চাকুরিচ্যুত হবার পর ফ্রিল্যান্স কম্পিউটার প্রোগ্রামার কামরুল হাসানকে নিয়ে ২০১৪ সালে এমন প্রতারণা শুরু করেন। চাকরিপ্রার্থীর বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য কামরুল সরকারি দফতরের ওয়েবসাইট হ্যাক করে নিয়োগের লিখিত কিংবা মৌখিক পরীক্ষায় ওই প্রার্থীর অবস্থান কতো সেটিও তাকে জানিয়ে দিতেন। নিয়োগের নামে টাকা নেয়ার পর সংশ্লিষ্ট বাহিনী বা দফতর প্রধানের নামে নিয়োগ চূড়ান্ত হবার এসএমএস এবং ভূয়া নিয়োগপত্রও পাঠাতেন তারা। এই চক্র বিভিন্ন বাহিনী ও সরকারি দফতরে পদভেদে জনপ্রতি ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছে বলেও জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
র্যাব-১২’র কোম্পানি কমান্ডার সোহরাব হোসেন জানান, মেহেরুল ও কামরুল দুজনের বাড়িই বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায়। এ পর্যন্ত এই দুই প্রতারক দুপচাঁচিয়া এবং আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে ৯০ লাখ টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়েছে। রোববার বিকেলে মামলা দায়েরের পর তাদেরকে দুপচাঁচিয়া থানায় হস্তান্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।