||উপজেলা প্রতিবেদক, শেরপুর (বগুড়া)||
বিয়ের মাত্র মাস চারেকের মাথায় শোবার ঘর থেকে মিলেছে মিতু আকতার নামের এক গৃহবধূর। শুক্রবার বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়ন থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে কী কারণে মিতুর এমন করুণ মৃত্যু সে ব্যাপারে পুলিশ এখনো নিশ্চিত হতে পারে নি।
শেরপুর থানা পুলিশ জানায়, মোবাইলফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে গেলো বছরের নভেম্বরে দুই পরিবারের অমতে নিজেরাই রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেন টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মিতু আকতার ও শেরপুরের বাসিন্দা জুবায়ের খান। বিয়ের পর থেকে মিতু স্বামীর সঙ্গে শেরপুরের ফুলজোড় গ্রামেই থাকতেন। জুবায়েরের পরিবার এ বিয়ে মেনে নিলেও মিতুর স্বজনরা মেনে নেন নি। এনিয়ে প্রায়ই বাদানুবাদ হতো পরিবারটিতে। শুক্রবার দুপুরের খাবারের পর মিতু শোবার ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেন। সন্ধ্যা হতে চললেও তার কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে স্বামীসহ বাড়ির অন্যরা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। এসময় তারা মিতুকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশের খবর দেন।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম বঙ্গকথনকে জানান, তারা মিতুকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করেছেন। ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছে এবং এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যাকাণ্ড তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে মিতুর মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে এবং অস্বাভাবিক মৃত্যুমামলা দায়েরের পর সেটির তদন্ত কাজ চলছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
উপ-শে//এমএই