||সংস্কৃতির মঞ্চ প্রতিবেদন||
উপমহাদেশের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা। তিনি বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, পপ ও আধুনিক সংগীতের জন্য বিখ্যাত। ভক্তদের উপহার দিয়েছেন অসংখ্য অসাধারণ গান। তিনি বাংলা, উর্দু, পাঞ্জাবি, হিন্দি, সিন্ধি, গুজরাটি, বেলুচি, পশতু, ফার্সি, আরবি, মালয়, নেপালি, জাপানি ভাষাসহ মোট ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারের বেশি গান গেয়েছেন শ্রোতাদের জন্য।

দমাদম মাস্ত কালান্দার খ্যাত এই গুণী তারকা শিল্পী ৬৯তম জন্মদিনে দিনটির প্রথম প্রহরে পরিবারের সদস্য, প্রিয়জনদের শুভেচ্ছায় ভাসছেন। খ্যাতনামা বাংলাদেশী কণ্ঠশিল্পী ১৭ নভেম্বর ১৯৫২ সালে সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা আনিতা সেন ওরফে আমেনা লায়লা ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী।

১৯৭৪ সালের শুরুতে প্রয়াত সত্য সাহার সুরে ‘জীবন সাথী’ ছবিতে গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ছবিতে প্রথম প্লেব্যাক করেন তিনি। তবে পাকিস্তানের ‘যুগ্নু’ ছবিতে ছোটবেলায় রুনা লায়লা প্রথম প্লেব্যাক করেন। সংগীতে আকাশছোঁয়া সাফল্য অর্জন করা শিল্পী রুনা লায়লা নাচেও বেশ পারদর্শী। চার বছর বুলবুল একাডেমি করাচীতে ভরতনাট্যম, কত্থক, কত্থকলি শিখেছিলেন এ তারকা। নন্দিত এই শিল্পী অভিনয় করেছেন ‘শিল্পী’ নামক চলচ্চিত্রেও।

ক্যারিয়ার জুড়ে পেয়েছেন নানা পুরস্কার। সম্প্রতি বিএমজেএ’র অষ্টম মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে রুনা লায়লাকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করে। এছাড়াও দেশ থেকে চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার। এছাড়া ভারত থেকে পেয়েছেন সায়গল পুরস্কার। পাকিস্তান থেকে অর্জন করেছেন নিগার, ক্রিটিক্স, গ্র্যাজুয়েটস পুরস্কারসহ জাতীয় সংগীত পরিষদ স্বর্ণপদক।
এসএ//আরজে