।। জেলা প্রতিবেদক সিরাজগঞ্জ ।।
সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। পানি বৃদ্ধিতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে তিন শতাধিক ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে এনায়েতপুরের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, এনায়েতপুর থানা, কাপড়ের হাটসহ ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জেলার চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলায় নদী ভাঙনের তীব্রতা বেশি। ফলে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় তিন শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় যমুনা পাড়ের মানুষগুলো ভাঙন আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
চৌহালী উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, নদী ভাঙনে বসত ভিটা ও ফসলি জমির সাথে সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভেঙে যাচ্ছে। গুশুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, নদী ভাঙনের কারণে স্কুল ঘর ভেঙ্গে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। করোনা সংকট শেষ হলে চরাঞ্চলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তাদের পুরনো ঠিকানা ভুলে যাবে। তীর সংরক্ষণে নদীর পেটে বালির বস্তা ডাম্পিংয়ের দাবি জানাই। এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর ফিরোজ জানান, যমুনার ভাঙনে হুমকির মুখে পড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এছাড়া বিলীন হয়ে যাওয়া বিদ্যালয়গুলোর নতুন ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ চেয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে। নতুন ভবন নির্মাণ হলে দুর্ভোগ অনেকটাই কমবে । সেই সাথে ভাঙন রোধে তীর সংরক্ষণের দাবি জানাই।
এসএফ