||খেলার মাঠ প্রতিবেদন||
ইউরোপিয়ান সুপার লিগ ইস্যুতে টালমাটাল গোটা ক্রীড়াঙ্গন। বিতর্কিত এই টুর্নামেন্টে অংশ নিলে ফুটবলাররা জাতীয় দলের হয়ে খেলার যোগ্যতা হারাবেন বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা। সংগঠনটির এমন বক্তব্যে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে পেশাদার ফুটবলারদের সংগঠন ফিফপ্রো। লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোদের পাশে দাঁড়িয়েছে তারা।
নতুন এই টুর্নামেন্ট শুরুর ঘোষণা আসে গত রোববার রাতে। ইউরোপের শীর্ষ ৩টি লিগের সর্বমোট ১২টি দল এতে অংশ নেবে বলে জানা যায়। যেখানে বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস, চেলসি, ম্যান-সিটির মতো ক্লাবও রয়েছে। তবে ফিফার তরফ থেকে বলা হয়েছে, সুপার লিগে খেললে ফুটবলারদের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে জাতীয় দলের দরজা। পরের দিন একই সুরে কথা বলেছে উয়েফাও।
উয়েফা জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি মৌসুমের সেমি ফাইনালে খেলা নাও হতে পারে রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যান-সিটি ও চেলসির। কারণ এই তিন দল সুপার লিগের জোটে নাম লিখিয়েছে। আগামী শুক্রবার এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
তবে এমন কিছু ঘটলে বসে থাকবে না বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে পেশাদার ফুটবলারদের সংগঠন ফিফপ্রো। তারা জানিয়েছে, ‘ফুটবল সংস্কৃতি, ফুটবলের পরিচয় এবং বিশেষ করে খেলোয়াড়দের ক্যারিয়ারের উপর কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে খেলোয়াড় এবং তাদের সংগঠনগুলোর মধ্যে অনেক উৎকণ্ঠা এবং প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। ফুটবল তার অনন্য সামাজিক এবং সাংস্কৃতির ঐতিহ্যের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। যেটি শুধু ফুটবল ও সমর্থকদের মাঝে অতুলনীয় সম্পর্ক তৈরি করে দেয় নি, অন্য যে কোনো খেলাধুলার চেয়ে পেশাদার এই খেলাটির বিস্তারের ভিতও তৈরি করে দিয়েছে। এটি টিকিয়ে রাখতে ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলোর মধ্যে একটি স্বাস্থ্যকর এবং আন্তরিকতাপূর্ণ সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ।’
এক বিবৃতিতে ফিফপ্রো আরো জানিয়েছে, খেলোয়াড়দের কোনো পক্ষের সম্পদ ও উদ্দেশ্য সাধনের উপায় হিসেবে নিয়মিত ব্যবহার করা হয়। ফিফপ্রোর কাছে এটা অগ্রহণযোগ্য। আমরা ৬৪টি ন্যাশনাল প্লেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এবং ৬০ হাজার খেলোয়াড়ের প্রতিনিধি। যে কোনো পক্ষের নেয়া খেলোয়াড়দের স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং জাতীয় দল থেকে বাদ দেয়ার মতো সিদ্ধান্তের কঠোর বিরোধিতার কথাও জানায় সংগঠনটি।