|| বঙ্গকথন প্রতিবেদন ||
মিথ্যা তথ্য দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনলে দণ্ডের বিধান রেখে একাদশ জাতীয় সংসদে বিল উত্থাপন করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত ১৯৮৮ সালের আইন বাতিল করে নতুন করে প্রণয়নের জন্য বিলটি আনা হয়েছে। মঙ্গলবার সংসদে ‘সরকারি ঋণ বিল-২০২১’ নামে এই বিল উত্থাপন করা হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এটি উত্থাপন করলে পরে ১৫ দিনের মধ্যে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
সরকারি ঋণ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর জন্য আধুনিক প্রক্রিয়ায় ঋণ সংগ্রহ, টেকসই ঋণ নীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং ঋণ কৌশলপত্র প্রস্তুত এবং ঋণের ঝুঁকি নিরূপণ ও সরকারের দায়ের হিসাব পৃথকীকরণ এসকল লক্ষ্যে খসড়া আইনটি আনা হয়েছে। নতুন এ আইনে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি নিজের বা অন্য কারো পক্ষে সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের স্বত্ব অর্জনের জন্য কোনো মিথ্য তথ্য দেন, তবে তার সর্বোচ্চ ছয় মাসের জেল অথবা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা হবে। পূর্বের আইনে জরিমানা সুনির্দিষ্ট করা ছিলো না।
বিলে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক বা জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের অভিযোগ ছাড়া কোনো আদালত মিথ্যা তথ্য সম্পর্কিত সংঘটিত অপরাধ আমলে নিতে পারবে না। কোনো সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের সার্টিফিকেটে মেয়াদপূর্তির পর আসল ও মুনাফা দিয়ে দেয়ার পর এ বিষয়ে সরকারের আর কোনো দায় থাকবে না। সরকারি সিকিউরিটির ধারক কোনো প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হলে বা অবসায়ন হলে ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নিযুক্ত প্রশাসক সিকিউরিটির বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলে বিধান রাখা হয়েছে।
জেটি//এমএইচ