।। জাতীয় প্রতিবেদন।।
‘অসম বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্য’ এ প্রতিপাদ্যে এ বছর অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ ’মানসিক স্বাস্ব্য দিবস’। দিবসটি উপলক্ষ্যে রোববার ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, সুখী-সমৃদ্ধ বৈষম্যহীন মানবিক বিশ্ব গড়তে শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন। বিশ্ব সভ্যতা বিকশিত হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তর বৈষম্য ও নানাবিধ অসমতা রয়ে গেছে দেশে দেশে। এ অসমতা অর্থনৈতিক, সামাজিক এমনকি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও। স্বাস্থ্যের দিকে যদি তাকাই, তাহলে মানসিক স্বাস্থ্য আরও বেশি উপেক্ষিত। অথচ সুখী-সমৃদ্ধ বৈষম্যহীন মানবিক বিশ্ব গড়তে শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার মানসিক স্বাস্থ্যের এ প্রয়োজনীয়তা যথাযথভাবে অনুধাবন করে। এজন্য আমাদের সরকার ২০০১ সালে ঢাকার শেরে বাংলা নগরে প্রতিষ্ঠা করে ‘জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট’। সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য বাস্তবায়নে এটি একটি মাইলফলক। তিনি বলেন, বর্তমানে করোনা মহামারির এ বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে জনসাধারণের মানসিক স্বাস্থ্য মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আক্রান্ত ব্যক্তি ছাড়াও পরিবারের সদস্য, সামাজের নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের মানসিক স্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন। এ পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার পরিধি আরও বিস্তৃত করতে হবে। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস হলো পৃথিবীর সবার মানসিক স্বাস্থ্যশিক্ষা, সচেতনতার দিন।
এটি ১৯৯২ সালে প্রথম পালন করা হয়। কিছু দেশে একে মানসিক রোগ সচেতনতা সপ্তাহের অংশ হিসেবে পালন করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে একটি করে প্রাণ যায় আত্মহত্যার মাধ্যমে। আত্মহত্যা একটি মানসিক রোগ। আমাদের দেশেও আত্মহত্যার প্রবণতা করোনাকালীন আরো বেড়ে গেছে। তবে যথাযথ মানসিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা গেলে এটি প্রতিরোধ করা সম্বভ।
আত্মহত্যাজনিত মৃত্যু অধিকাংশই প্রতিরোধযোগ্য। অধিকাংশ ব্যক্তিই আত্মহত্যার সময় কোনো না কোনো মানসিক রোগে আক্রান্ত থাকেন। সাধারণত সেটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না বা মানসিক রোগ নিশ্চিত হলেও যথাযথ চিকিৎসা করা হয় না বলেই আত্মহত্যা বেড়ে যাচ্ছে। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের মাধ্যমে আত্মহত্যার এ হার কমিয়ে আনা সম্ভব।
জেটি//এমএইচ