।। বঙ্গকথন প্রতিবেদন।।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় দুই বন্ধু মিলে অতিরিক্ত মাদক সেবনের পর এক বন্ধু, অসুস্থ্য আরেক বন্ধুর পিঠে লাথি মারার পর মৃত্যু ঘটেছে তার। তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর মঙ্গলবার উপজেলার ইসলামপুর খাঁ পাড়া এলাকার আবু ওবায়দা হুমায়ুন নামের ওই যুবকের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয় । নিখোঁজের দুদিন পর পরিবারের কাছে মুক্তিপণের ফোন আসে। এরপরই এই ঘটনার রহস্য উন্মোচন করে থানা পুলিশ।
বুধবার দুপুরে কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, শনিবার বিকেলে ইসলামপুর থেকে দুই বন্ধু হুমায়ুন ও হারুন দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরে এসে মাদক কিনে গ্রামে ফিরে যায়। হারুনের বাড়িতে কেউ না না থাকার সুবাদে রাতে তারা দুজন মিলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করে। অতিরিক্ত মাদক সেবনের পর দুজনেই বাড়ির মধ্যে মাতলামি করতে থাকেন। একসময় হুমায়ুন অসুস্থ্য হয়ে পাশের একটি টিউবয়েল পাড়ে পড়ে যান। এসময় হারুন তাকে সেখান থেকে ওঠাতে ব্যর্থ হয়ে তার পিঠে সজোরে কয়েকটি লাথি মারে। এরপরই নিস্তেজ হয়ে পড়ে হুমায়ুন। ঘটনার পর হারুন বন্ধুর মরদেহ বস্তায় তুলে গ্রামের একটি পুকুরে ফেলে দিয়ে সটকে পড়ে। সোমবার হুমায়ুনের বাবাকে ফোনে হারুন জানায়, হুমায়ুনকে অপহরণ করা হয়েছে, এক লাখ টাকা মুক্তিপণ না দিলে তাকে মেরে ফেলা হবে।
পুলিশ সুপার জানান, হুমায়ুনের পরিবার মুক্তিপণের বিষয়টি থানায় জানানোর পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মঙ্গলবার এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর ওইদিন রাতেই তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে আটক করা হয় নিহতের বন্ধু হারুনকে। বুধবার হারুন আদালতে ১৬৪ ধারায় এই ঘটনার জবানবন্দী দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
এমএইচ//এসএ