||সংস্কৃতির মঞ্চ প্রতিবেদন||
জমিজমা ও পারিবারিক বিরোধের জেরে ক্লোজআপ ওয়ান তারকা ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সঙ্গীত শিল্পী সাজু আহমেদ তার মাকে মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে। সাজুর এ ধরণের কর্মকাণ্ডের খবরে জেলা জুড়ে চলছে সমালোচনা ।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার পাণ্ডুল ইউনিয়নের তেলিপাড়ায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। সাজুর মা রানীজান বেওয়াকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছুরি দিয়ে আঘাত করায় তার বাম চোখের উপরে কপালে ৩ ইঞ্চি পরিমাণ ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এ ঘটনায় শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাজুর বড় বোন আঞ্জুমানআরা বেগম বাদী হয়ে সঙ্গীত শিল্পী সাজু আহমেদকে আসামি করে উলিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। সাজুর এ ধরণের কর্মকাণ্ডের খবরে জেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। হতাশ হয়েছে তার ভক্তরা। হাসপাতাল থেকে মুঠোফোনে অনেকে সাক্ষাৎকার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে নানান মন্তব্য করতে দেখা যায় ভক্তদের।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে জমিজমার বিষয় নিয়ে মায়ের সাথে বাকিবতণ্ডা হয় সাজুর। এক পর্যায়ে রেগে গিয়ে ছোরা দিয়ে মায়ের মাথায় আঘাত করতে উদ্ধত হয় সাজু। এসময় সাজুর বড়বোন আঞ্জুমানআরা তাকে ঝাপটে ধরলে তার মায়ের কপালে ছোরার আঘাত লাগে। এতে প্রায় ৩ইঞ্চি গভীরভাবে কেটে যায়। পরে আহতাবস্থায় সাজুর মাকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসাধীন সাজুর মা রানীজান বেওয়া (৬২) জানান, ২০০৮ সালে টিভি চ্যানেল এনটিভি’র গানের রিয়ালিটি শো ক্লোজআপ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানারআপ হয় সাজু। ওই সময় ছেলের জন্য জমি বিক্রি ও বন্ধক রেখে ১৬লাখ টাকা খরচ করা হয়। এরপর সেই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও সে তা না করে উল্টো আরও টাকা চায়। সম্প্রতি রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার পর সে পাণ্ডুল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছিল। প্রচারণার ব্যয় নির্বাহ করার জন্য সে জমি বিক্রির জন্য আমাকে চাপ দিচ্ছিল। এনিয়ে আমাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতো, আমাকে অপমান করতো। এখন সে আমার গায়ে হাত তুলেছে, আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ব্যাপারে সঙ্গীত শিল্পী ও জেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটির সদস্য সাজু আহমেদ মায়ের ওপর হামলার কথা অস্বীকার করে জানান, সামান্য পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। আমি ভিতরের রুম থেকে বাইরের রুমে শিফট হতে চেয়েছিলাম। কারণ আমার অনেক বন্ধু-বান্ধব আসে। সেটা আমি মাকে জানালে, মা পাশের গ্রামে থাকা আমার বড় বোন আঞ্জুমানআরাকে মোবাইলে ডেকে আনে। বড় বোন আমাকে শিফট হতে বাধা দেয়। এনিয়ে তার সাথে আমার ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে বড় বোন আমাকে মাটিতে বসার পিঁড়ি দিয়ে আঘাত করলে আমি ঠেকালে সেটি মায়ের কপালে আঘাত করে। আমি আমার মাকে আঘাত করিনি। আর ছোরা দিয়ে আঘাতের ঘটনা বানোয়াট।
এমএইচ//