গত ২৯ এপ্রিল চীনের ওয়েনচ্যাং স্পেস সেন্টার থেকে লং মার্চ-৫বি রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। ভূপৃষ্ঠ থেকে আনুমানিক ১৬০ থেকে ৩৭৫ কিলোমিটার ওপরের একটি কক্ষপথে যাওয়ার পর রকেটটির মূল অংশ নজিরবিহীনভাবে নিচের দিকে নেমে আসে।
১৮ টন ওজনের এ ধ্বংসাবশেষ বায়ুমণ্ডলে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ছড়িয়ে পড়ে। চীনা মহাকাশ সংস্থা জানায়, রকেটটির ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর আজ রবিবার তা ভারত মহাসাগরে মালদ্বীপের কাছে পড়েছে।
পর্যবেক্ষণ সংস্থা স্পেস-ট্র্যাকও নিশ্চিত করেছে, চীনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে তা সাগরে পড়েছে।
বলা হচ্ছে, কয়েক দশকের মধ্যে এটি বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়া সবচেয়ে বড় মহাকাশ বর্জ্যের অন্যতম। তবে যুক্তরাষ্ট্র আগেই জানায়, তাদের আশা, রকেটটির ধ্বংসাবশেষ এমন জায়গায় পড়বে, যেখানে কারও ক্ষতি হবে না। এটি সমুদ্র বা এ রকম কোনো জায়গায় পড়তে পারে।
মহাকাশে নতুন একটি স্পেস স্টেশন তৈরির চেষ্টা করছে চীন। এর অংশ হিসেবে গত মাসে প্রথম মডিউল পাঠায় দেশটি। এ মডিউল পাঠাতে লং মার্চ-৫বি নামের একটি রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।
এর আগে গত বছর আরেকটি রকেটের ধ্বংসাবশেষ পশ্চিম আফ্রিকার আইভরি কোস্টের গ্রামে পড়েছিল। এতে সেই দেশের নানা অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কেউ হতাহত হয়নি।