||জেলা প্রতিবেদক, রাজশাহী||
ভাতের পরিমান কমিয়ে প্রোটিনের পরিমান বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টি ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সোমবার রাজশাহীতে ‘প্রোটিন ফর অল’ শীর্ষক সেমিনারে তারা বলেছেন, ভাতের প্রতি নির্ভরশীলতা স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী জাতি গঠনের পথে অন্তরায়। বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি), ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিল এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এই সেমিনারের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. খালেদা ইসলাম সেমিনারে বলেন, বাংলাদেশে প্রোটিন খাদ্যের ভালো উৎস থাকা সত্ত্বেও মানসম্পন্ন প্রোটিন গ্রহণে ঘাটতি রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে খাদ্যে আমিষের ঘাটতি থাকলে কোয়াশিয়রকর রোগ হয়। দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা, মেধা ও বুদ্ধি কমে যায়। তাই আমিষ জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। করোনার বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে প্রোটিন জাতীয় খাদ্য গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন এই পুষ্টিবিদ।

সাজেদা ফাউন্ডেশনের পুষ্টিবিদ ইশরাত জাহান বলেন, শতকরা ৬০ ভাগেরও অধিক আমিষ আমরা গ্রহণ করে থাকি বিভিন্ন প্রকার শর্করাজাতীয় খাবার থেকে। ঐ ধরনের আমিষে অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো এসিডের ঘাটতি থাকায় সুষম আমিষ গ্রহণ থেকেও অনেকে বঞ্চিত হন। সেমিনারে বিপিআইসিসি’র সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, উন্নত বিশ্বের মানুষ বছরে মাথাপিছু যেখানে ৪০-৪৫ কেজি মুরগির মাংস খায়, সেখানে আমরা খাই মাত্র ৭ কেজির মত। প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে এই পরিমান অন্তত দ্বিগুণ করার উদ্যোগ নিতে হবে।
‘প্রোটিন ফর অল’ সেমিনারে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমাম, পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন ও হোটেল-রেস্তোঁরা মালিক সমিতির প্রতিনিধি, গণমাধ্যমের সাংবাদিকসহ মোট প্রায় ১৪০ জন অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে পোল্ট্রি কুকিং কনটেস্টের বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এতে যথাক্রমে মুমতাহিনা জেফরিন অন্তি, আনিকা তামান্না এবং সাবা রহমান। কুকিং কনটেস্টে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক ড. খালেদা ইসলাম, সেলিব্রেটি শেফ রহিমা সুলতানা রিতা এবং পুষ্টিবিদ ইসরাত জাহান।
এমএইচ//