||বঙ্গকথন প্রতিবেদন||
বগুড়া শহরের তিনমাথা রেলগেট এলাকায় বিক্রির সময় ৩৫টি সুন্দি কাছিম আটক করেছে পরিবেশবাদী একটি সংগঠনের কর্মীরা। পরে বণ্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট কাছিমগুলো জব্দ করে, আটক করা হয় দুই বিক্রেতাকে।

সরকারি আজিজুল হক কলেজ শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন টিম ফর অ্যানার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিচার্স-তীরের সাবেক সভাপতি আরাফাত রহমান জানান, রোববার সকালে তিনমাথা রেলগেট এলাকায় দুই ব্যক্তি একটি বস্তায় করে কাছিমগুলো বিক্রির জন্য দরদাম করছিলো ক্রেতার সাথে। বিষয়টি দেখে তারা কাছিমসহ বিক্রেতা দুজনকে আটক করেন। পরে তাদের বস্তা খুলে দেখা যায় ছোট-বড় ৩৫টি সুন্দি কাছিম তারা বিক্রির জন্য সংগ্রহ করে এনেছে নোয়াখালী ও কিশোরগঞ্জ থেকে।
বণ্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসীম মল্লিক জানান, বিপন্ন প্রজাতির এই কাছিম সাধারণত বাংলাদেশসহ আশপাশের দেশগুলোতেই বিচরণ করতে দেখা যায়। ২০১২ সালের বণ্যপ্রাণী আইনের তফসিল-২ অনুযায়ী সুন্দি কাছিম সংরক্ষিত প্রাণীর তালিকায় রয়েছে। সনাতনসহ কিছু ধর্মের মানুষ বিয়ে কিংবা কোনো উৎসব-পার্বনে কাছিম খেয়ে থাকে। জব্দ করা এই ৩৫টি কাছিমও কাহালু উপজেলার একটি বিয়ে বাড়িতে বিক্রির জন্য দরদাম করছিলো ক্রেতারা। কাছিমগুলো ফের প্রকৃতিতে ছেড়ে দেয়া এবং আটক দুই বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম ও গোবিন্দ চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এফএস//এমএইচ