||খেলার মাঠ প্রতিবেদন||
শ্রীলঙ্কায় নিজের ১১তম টেস্ট সেঞ্চুরিটি করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। দেশের বাইরে এটি মুমিনুলের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। পাল্লেকেলে টেস্টের প্রথম দিন নামের পাশে ৬৪ রান নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন মুমিনুল হক। আজ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেই সেটিকে শতকে পরিণত করেন তিনি। এ সেঞ্চুরি করতে ২২৪ বল খরচ করেছেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটি মুমিনুলের চতুর্থ সেঞ্চুরি এবং দেশের বাইরে প্রথম। নাজমুল হোসেনকে নিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ জুটিও গড়েছেন মুমিনুল। কাল ১৫০ রানের জুটি গড়ে আজ সকালে সেটিকে ২০০ রানের ঘরের নিয়ে যান। ডাবল সেঞ্চুরির জুটিতে বড় অবদানটা ছিল গতকাল টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করা নাজমুলেরই।
মুমিনুল মাত্র ৪৩ টেস্টে ৭৯ ইনিংস খেলেছেন। সেঞ্চুরি করেছেন ১০টি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কাল করা ফিফটি মুমিনুলের ১৪তম টেস্ট ফিফটি।
বুধবার ম্যাচের প্রথম দিন ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন মুমিনুল। এই ফিফটিও তার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৭ সালের পর বিদেশের মাটিতে ৫০ ছোঁয়া কোনো ইনিংস ছিল না তার। সেটির স্বাদ নিয়েছেন কালই। দিনের খেলা শেষে ৬৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। আজ নিজের ইনিংসটি টেনে শতকে রূপ দিলেন মুমিনুল। খরা কাটিয়ে বিদেশের মাটিতে প্রথম শতকের দেখাও পেলেন।
২০১২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক। প্রায় সাড়ে ৮ বছরের ক্যারিয়ার। দীর্ঘ পথচলায় অন্য দুই ফরম্যাটে সেভাবে সুযোগ পাননি মুমিনুল। অনেক আগেই তার নামে টেস্ট ক্রিকেটারের তকমা। সেটিকে আলিঙ্গন করে এগিয়ে চলেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
টেস্টে এতোদিন ১০টি শতক নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক ছিলেন, তবে সবগুলোই ছিল দেশের মাটিতে। এনিয়ে সমালোচকদের অনেক কটু কথা শুনতে হয়েছে। অবশেষে আসলো সেই কাঙ্ক্ষিত শতক। সঙ্গে ১১ সেঞ্চুরি নিয়ে সতীর্থ তামিম ইকবালের সঙ্গে ব্যবধান বাড়ালেন তিনি। ৯টি সেঞ্চুরি নিয়ে তামিম আছেন সর্বোচ্চ শতকের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে।
তৃতীয় বাংলাদেশি অধিনায়ক হিসেবে শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন মুমিনুল। এর আগে ২০০৭ সালে মোহাম্মদ আশরাফুল ও ২০১৩ সালে গলে অধিনায়ক হিসেবে সেঞ্চুরি হাকান মুশফিকুর রহিম। পরে অবশ্য সেটিকে ডাবল সেঞ্চুরিতে রূপ দেন মুশফিক। সব মিলিয়ে ২২তম সফরকারী দলের অধিনায়ক হিসেবে শ্রীলঙ্কায় সেঞ্চুরি পেলেন মুমিনুল হক।
আরআই//এমএইচ