শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন একটি নির্দেশনা জারি করেছে বিএসইসি। শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা বিও হিসাবে আর্থিক বছরের ন্যূনতম এক মাস ধারাবাহিকভাবে ১ লাখ টাকার ক্রেডিট ব্যালেন্স রাখবেন, তিনি সুদ আয় পাওয়ার যোগ্য হবেন।এছাড়া কোনো গ্রাহকের হিসাবে এক আর্থিক বছরে কমপক্ষে ৫০০ টাকা সুদ আয় জমা হলে, তিনি সুদ আয় পাবেন।
এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সোমবার জারি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সি করা এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্রোকারেজ হাউসগুলো সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে জমা করা অর্থের কারণে ব্যাংক থেকে যে সুদ অর্জিত হয়, তা বিনিয়োগকারীদের মাঝে আনুপাতিক হারে বিতরণ করতে হবে। তারপরেও কোন অবণ্টিত সুদ থাকলে, তা স্টক এক্সচেঞ্জের বিনিয়োগকারী প্রটেকশন ফান্ডে জমা দিতে হবে। যা প্রতি অর্থবছর শেষ হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে দিতে হবে।
এদিকে মাসিক ভিত্তিতে প্রতিটি স্টেকহোল্ডার কোম্পানির সমন্বিত গ্রাহক হিসাব তদারকির জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।
দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠিতে ট্রেকহোল্ডার কোম্পানির সমন্বিত গ্রাহক তদারকিতে ব্যাংক স্টেটমেন্টসহ আনুষঙ্গিক ডকুমেন্টস মাসিক ভিত্তিতে যাচাই করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বানকো সিকিউরিটিজে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের ঘটনার পরে বিএসইসি এই উদ্যোগ নিল। এই ব্রোকারেজ হাউসটিতে গ্রাহকদের সমন্বিত হিসাবে ৬০ কোটি টাকার ঘাটতি রয়েছে বলে দাবি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষের। যে কারণে হাউসটির লেনদেন কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।