||খেলার মাঠ প্রতিবেদন||
দিনদুয়েক আগে বার্সেলোনার সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা জানিয়েছিলেন, লিওনেল মেসির সঙ্গে নতুন চুক্তির আলোচনা দারুণভাবেই এগিয়ে চলেছে ঠিক পথে। এবার স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, নতুন চুক্তি নিয়ে সব আলোচনাই প্রায় শেষ। কেবল স্বাক্ষর করাটাই বাকি, সেটা হলেই আসবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।
‘মেসির লোকজনের সঙ্গে আমাদের কথা চলছে। এবং কথাবার্তা বেশ ভালোই এগোচ্ছে। এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি ঠিকই, তবে আমরা জানি লিও ক্লাবে থাকতেই চায়’- মঙ্গলবার এমন কথা জানিয়েছিলেন বার্সা সভাপতি লাপোর্তা।
এরপরই স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যমে খবর, মেসি-পক্ষের সঙ্গে সব ধরনের আলোচনাই চূড়ান্ত বার্সেলোনার, এখন কেবল স্বাক্ষর পাওয়ার অপেক্ষা। স্থানীয় ক্রীড়াদৈনিক মার্কা জানাচ্ছে, কাতালানদের সঙ্গে তাদের চুক্তিটা হবে দুই বছরের। এ নিয়ে দুই পক্ষেরই সায় মিলেছে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব ও কোপা আমেরিকা খেলতে মেসি এখন আছেন আর্জেন্টিনায়। সে স্বাক্ষরটা বার্সেলোনা কখন পাবে, তা নিয়ে এখন চলছে গুঞ্জন।
বার্সেলোনায় থাকার জন্য ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দলের’ চাওয়া ছিল মেসির। চলতি দলবদলে বার্সেলোনা কাটাচ্ছে ব্যস্ত সময়। ইতোমধ্যেই তার বন্ধু সার্জিও আগুয়েরো আর ডিফেন্ডার এরিক গার্সিয়াকে ম্যানচেস্টার সিটি থেকে দলে ভিড়িয়েছে ক্লাবটি। লিভারপুল থেকে মিডফিল্ডার জর্জিনিও ওয়াইনাল্ডাম ও রাইটব্যাক এমারসন রয়্যালকে রিয়াল বেটিস থেকে দলে ভেড়ানোর কথাও এগিয়েছে অনেক দূর। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দলের চাওয়াটা পূর্ণ হওয়ার চাহিদাটা আছে পূরণ হওয়ার পথেই।
আর গেল মৌসুমের শেষে বার্সেলোনা ছাড়তে চাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ ছিল তৎকালীন সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তোমিউ। তার কাছে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল চেয়েও পাননি মেসি। তার অধীনে বোর্ডের আরও অনেক আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েই বার্সা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। সেই বার্তোমিউও এখন আর নেই। এ কারণেই মূলত মেসি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন থেকে যাওয়ার, জানাচ্ছে স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম। এখন কেবল অপেক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর আর চূড়ান্ত ঘোষণার।