বগুড়ায় ধণিক তোষণের বাজেট প্রত্যাখ্যান, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, কৃষি , সামাজিক সুরক্ষসহ উৎপাদনশীল খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর দাবিতে মানববন্ধন করেন বাম গণতান্ত্রিক জোট। বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় এ সমাবেশের আয়োজন করেন ।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ জেলা আহবায়ক অ্যাড. সাইফুল ইসলাম পল্টু, সিপিবি জেলা সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ফরিদ, গণসংহতি আন্দোলন জেলা সমন্বয়কারী আব্দুর রশিদ, সিপিবি জেলা সম্পদক মন্ডলীর সদস্য হাসান আলী শেখ, বাসদ জেলা সদস্য শ্যামল বর্মন।
শহরের সাতমাথায় সমাবেশে সিপিবি জেলা সভাপতি জিন্নাতুল ইসলাম বলেন, ভ্যাট-ট্যাক্সসহ পরোক্ষ করের বোঝা বাড়িয়ে সাধারণ মানুষদের ভোগান্তি আরাও বাড়ানো হচ্ছে। বিশাল আকারের বাজেট ও অনেরক কথার চাতুরিতে বাজেটে জনগণের মূল সমস্যাকে আড়াল করা হয়েছে। তিনি ঘোষিত বাজেটকে প্রত্যাখ্যান করে ১৭ কোটি মানুরে স্বাস্থ্য,কৃষি , সামাজিক নিরাপত্তা, কর্মসংস্থানসহ জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে এবং সকল মানুষকে টিকার আওতায় আনার রোড ম্যাপও বাজেটে ঘোষণা করার আহবান জানান।
বাজেট জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনের সাথে সংগতিপূর্ণ নয় বলে অভিহিত করে সাইফুল ইসলাম সমাবেশে বলেন, গত বাজেটের চেয়ে ৩৫ হাজার কোটি টাকা এবং সংশোধিত বাজেটের তুলরায় ৬৫ হাজার কোটি টাকার বেশি । ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার এই বাজেট করোনাকালীর সময়ে সাধারণ মানুষের জীবনমান রক্ষা ও জীবিকার নিশ্চয়তার চাইতে বৈষম্য বাড়িয়ে তুলবে। ।
সামাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, করোনায় আগের তুলনায় আড়াই কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে মেনে গেছে, দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৪২ শতাংশের বেশি হয়েছে অথচ তাদের জীবন রক্ষায় প্রয়োজনীয় বরাদ্দ করা হয়নি। গত বাজেটে করোনাকালে প্রণোদনায় কৃষি ঋণের সুদ ৪.৫ শতাংশ অথচ গার্মেন্টসসহ শিল্পে তা ২ শতাংশ করা হয়েছিল, কৃষি ঋণের সুদ কমানোর প্রস্তাব এবারের বাজেটেও নেই। করোনায় কাজ হারিয়েছে শ্রমিক, ৩ লাখের বেশি প্রবাসী শ্রমিক দেশে ফিরেছে, প্রতি বছর শ্রমের বাজারে আসে ২২ লাখ তরুণ যুবক তাদের কর্মসংস্থানের কোন পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনা এবারের বাজেট প্রস্তাবে নেই। সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থী এবং ২০ লাখের বেশি শিক্ষক করোনাকালে বিপর্যস্ত।
বাজেট প্রত্যাখ্যান ও সংশোধনের দাবি জানিয়ে সমাবেশে নেতৃবৃন্দ জানান, বিশাল বাজেটের বড় বোঝা জনগণের উপর চাপিয়ে বড় ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, আমলা সহায়ক এই বাজেট কৃষককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, শ্রমিককে দুর্দশায় ফেলবে, বেকারতের হতাশঅয় নিমজ্জিত করবে, ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পকে টিকে থাকার এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।