বাংলাদেশ নারী ইমার্জিং ‘উদীয়মান’ দলে সালমা–জাহানারা !

0 456

||খেলার মাঠ প্রতিবেদন||

বাংলাদেশের মেয়েদের ক্রিকেটে দুজনই বড় তারকা। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার তো বটেই। রুমানা আহমেদ নারী ওয়ানডে দলের অধিনায়ক, সালমা খাতুন টি-টোয়েন্টি দলের। অথচ তারাই কিনা খেলছেন নারী উদীয়মান দলে!

সালমা, রুমানাই শুধু নন; বাংলাদেশ সফররত দক্ষিণ আফ্রিকা নারী ইমার্জিং দলের বিপক্ষে পাঁচটি ৫০ ওভারের ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ নারী ইমার্জিং দলে খেলছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার জাহানারা আলম, ফারজানা হক, খাদিজা-তুল-কুবরা, রিতু মনিরাও। এরপর কি আর উদীয়মান থাকে দলটা? এই দল নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের বিপক্ষে পরশু প্রথম ম্যাচে জিতেছে বাংলাদেশের মেয়েদের ‘ইমার্জিং’ দল।সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ।

সব দেশের ইমার্জিং দলেই অন্তত তিনজন অনূর্ধ্ব-২৩–এর বেশি বয়সী ক্রিকেটার থাকেন। দক্ষিণ আফ্রিকার দলটিতেও অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছেন কয়েকজন। তবে বাংলাদেশ এদিক দিয়ে ব্যতিক্রমই। উদীয়মানদের দলের প্রায় পুরো একাদশই যে গঠন করা হয়েছে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের দিয়ে! পরশু প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ নারী ইমার্জিং দলে মাত্র দুজন ছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার। সালমা, রুমানা, জাহানারাসহ বাকিরা জাতীয় দলেরই প্রতিনিধি।

টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর মেয়েদের ক্রিকেট নিয়ে বাংলাদেশের যেখানে নতুন করে স্বপ্ন দেখার কথা, সেখানে জাতীয় দলের একঝাঁক খেলোয়াড় দিয়ে ইমার্জিং দল গড়া প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে—প্রতিভাবান নতুন নারী ক্রিকেটার কি তাহলে উঠে আসছে না?

নারী ক্রিকেট দলের নির্বাচক মঞ্জুরুল ইসলাম ব্যাখ্যা দিলেন, ‘এখানে জাতীয় দল, ইমার্জিং দল এবং অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটারও আছে। মেয়েরা অনেক দিন খেলছে না। সে জন্যই সবাইকে সুযোগ দেওয়া।’

আগামী জুন-জুলাই মাসে শ্রীলঙ্কায় হওয়ার কথা মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব। তার আগে যেহেতু জাতীয় দলের ম্যাচ আয়োজন করা যাচ্ছে না, দক্ষিণ আফ্রিকার দলটার সঙ্গেই কিছু ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে সালমা–জাহানারাদের।

নির্বাচক মঞ্জুরুল অবশ্য বলেছেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এসব সিরিজে নতুনদেরই সুযোগ দেওয়ার পক্ষে তিনি, ‘নতুনদের দেখতে হলে এমন সিরিজে উদীয়মানদেরই সুযোগ দিতে হবে। প্রথম ম্যাচে যেমন দুজন মেয়েকে সুযোগ দিয়েছি। ওরা ভালোও করেছে।’ সঙ্গে বোঝাতে চেয়েছেন বাস্তবতা, ‘আমাদের জন্য বিশ্বকাপ বাছাইপর্বটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে না পারলে আমাদের ২০২৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’

চলতি সিরিজের পাঁচ ম্যাচের জন্য তিনটি ভিন্ন সমন্বয়ের দলও ভেবে রেখেছেন মঞ্জুরুল। সেই হিসেবে সিরিজের শেষের দিকে ইমার্জিং দলের মূল একাদশে নতুন কিছু নাম দেখা গেলেও যেতে পারে, ‘প্রথম দুই ম্যাচ, পরের দুই ম্যাচ আর শেষ ম্যাচের কথা মাথায় রেখে আমরা তিনটি ভাগ করে রেখেছি। অনূর্ধ্ব-১৯, ইমার্জিং ও জাতীয় দলের মিশ্রণ দেখতে পাবেন প্রতিটি সমন্বয়েই।’

তাতেও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলের বিপক্ষে নিজেদের সামর্থ্য দেখানোর সুযোগটা কমই পাবেন উদীয়মান ক্রিকেটাররা।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More