||বঙ্গকথন প্রতিবেদন||
বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়লে বাংলাদেশেও বাড়ানো হয়। কিন্তু কমে গেলে সবসময় কমানো হয় না তেলের দাম।
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পেলে গেলো মাসে ডিজেল কেরোসিনের মূল্য লিটারে ১৫ টাকা বৃদ্ধি করে সরকার। এই মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয় এবং অতিরিক্ত দাম বৃদ্ধির যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এ অবস্থায় বাংলাদেশে যে পদ্ধতিতে তেলের মূল্য নির্ধারণ হয় সে ব্যবস্থা সংস্কারের প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন অনেকে ।
বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম কত টাকা হবে – সেটি একচেটিয়াভাবে নির্ধারণ করে সরকার। জ্বালানি মন্ত্রণালয় সূত্রে গেলো ২০ বছরে বাংলাদেশে ১৭ বার ডিজেলের দামে সমন্বয় হয়েছে। যার মধ্যে ১৩ বার বেড়েছে আর কমেছে মাত্র ৪ বার। বাংলাদেশে তেলের দাম নির্ধারণ হয় সরকারের নির্বাহী আদেশে ফিক্সড প্রাইস মেথডে। এ পদ্ধতি অনুসরণের ফলে বিশ্ববাজারে আচমকা দাম বেড়ে গেলেও ভর্তুকি দিতে হয়। আবার তেলের দাম অনেক কমে গেলেও সবক্ষেত্রে কমে না ফলে তেলের মূল্য কম থাকার যে সুবিধা- সেটি থেকে ভোক্তারা বঞ্চিত হন।
বাংলাদেশের নিকট প্রতিবেশি ভারতে জ্বালানি তেলের দাম প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয় বাজার মূল্যের সাথে সমন্বয় করে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আফগানিস্তানেও বাজার মূল্যের সাথে তেলের দাম নিয়মিত সমন্বয় করা হয়।
সম্প্রতি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে পরিবহন কৃষি থেকে শুরু করে সব খাতেই এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এবার দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে সরকার ছাড়া আর কেউ যুক্তিযুক্ত মনে করেনি। এরই মধ্যে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমেছে। কতটা কমলে দাম আবার কমানো হবে বা মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতিতে সংস্কার হবে এর কোনো উত্তর মেলেনি জ্বালানি বিভাগ থেকে।
এসএ//এফএস