।।বঙ্গকথন প্রতিবেদন।।
বগুড়া জেলা গঠনের দুইশ বছরপূর্তি হচ্ছে মঙ্গলবার। ১৮২১ সালের ১৩ এপ্রিল বগুড়া জেলা গঠনের আদেশ জারি হয়। এ উপলক্ষে বগুড়া ইতিহাস চর্চা পরিষদ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সোমবার দুপুরে শহরের শেরপুর রোডের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে বগুড়া জেলা গঠন ও এখানকার ইতিহাসের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি ডা. সি এম ইদরিস। সংবাদ সম্মেলনে ডা. ইদ্রিস বলেন, বগুড়ার ইতিহাস শুধু দুইশ বছরের নয়, এ মাটির সঙ্গে মিশে আছে হাজার বছরের ইতিহাস। খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতকে বগুড়া ছিল মৌর্য শাসনাধীনে। এরপর আসে গুপ্তযুগ। একে একে শশাঙ্ক, হর্ষবর্ধন, যশোবর্ধন পাল ও সেনরাজ বংশ এই অঞ্চল শাসন করে। মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সেন প্রভৃতি রাজাদের প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল প্রাচীন জনপদ বগুড়া তথা রাজধানী পুণ্ড্রবর্ধন। বর্তমান মহাস্থানগড়ে যার ধ্বংসাবশেষ আজও কালের সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
তিনি বলেন, একদা অনেক মনীষী, পর্যটক, পীর-ফকির, আউলিয়ার পদচারণায় ধন্য হয়ে উঠেছিল এ জনপদ। দীর্ঘ সময় ধরে ছিল এই বগুড়া ব্যবসা-বাণিজ্যের তীর্থকেন্দ্র। হযরত শাহ সুলতান বলখী (রহ.) মাহী সাওয়ারের আগমনে এ অঞ্চলে বিকাশ ঘটে ইসলামী সভ্যতার। কিংবদন্তির বেহুলা-লক্ষ্মীন্দরের ঘটনার স্মৃতিও ধারণ করে আছে এই বগুড়ার মাটি। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আজ সকাল ১১টায় বগুড়া জিলা স্কুল মাঠে বগুড়া জেলা গঠনের দুইশ বছরপূর্তি উদযাপনের জন্য ফেস্টুন ও বেলুন উড়িয়ে দিবসের উদ্বোধন করা হবে। সকাল সাড়ে ১১টায় স্থানীয় রোচাস রেস্টুরেন্টে আলোচনা সভা ও দুইশ বছরপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকা ‘বগুড়া কথা’র মোড়ক উন্মোচন করা হবে।
এসএফ