||বঙ্গকথন প্রতিবেদন||
বগুড়ায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয়তবাদী যুবদলের দুই পক্ষের মারপিট ও ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। ছুরিকাহত যুবদলকর্মী মেহেদী হাসান বাপ্পীসহ তিনজকে আহতাবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে। সোমবার দুপুরে শহরের নবাববাড়ী সড়ক এলাকায় বিএনপি কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থিত জেলা যুবদলের কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।

যুবদলের নেতারা জানান দুপুরে বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি গঠন নিয়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে আলোচনা করছিলেন জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলামসহ অন্য নেতারা। আলোচনা শুরুর কিছুসময় পর যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমও সেখানে যান। আলোচনা চলাকালে তিনি বেরিয়ে যাবার পর কিছুক্ষণ পর যুবদলের ২০/২৫ জন কর্মী লাঠিশোটা হাতে সেখানে যান। এরপরেই দুই পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এসময় যুবদলকর্মী বাপ্পী ছুরিকাঘাতের শিকার হন। আহতদের মধ্যে বাপ্পীর শারীরিক অবস্থা কিছুটা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলামের দাবি, তারা সাংগঠনিক আলোচনার সময় অতর্কিতে জাহাঙ্গীর আলমের অনুসারী হিসেবে পরিচিতরা তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।

অবশ্য হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে জাহাঙ্গীর আলম দাবি করেছেন, ঘটনার সময় শাজাহানপুর এবং গাবতলী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন যুবদলের নতুন কমিটি চূড়ান্ত করার আলোচনা চলছিলো। আহ্বায়ক আর্থিক সুবিধা নিয়ে অযোগ্যদের ওই কমিটিগুলোতে চূড়ান্ত করার চেষ্টা করছিলেন, তাই প্রতিবাদ করে সেখান থেকে তিনি বেরিয়ে গেছেন। পরে ওই দুই উপজেলার পদবঞ্চিতরা দলীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ করেছে বলে শুনেছেন।
এমএইচ//