।।ডক্টর’স চেম্বার প্রতিবেদন।।
বাংলাদেশে অসংক্রামক ব্যাধিতে যাদের মৃত্যু হয় তার ১০% শ্বাসতন্ত্রের সমস্যাজনিত কারণে। বায়ু দূষণের কারণে ফুসফুসের সমস্যায় অনেকেই আক্রান্ত হন। এখন তার সাথে যুক্ত হয়েছে করোনাভাইরাস। ফুসফুসের নানা সমস্যার সমাধান লবনের থেরাপি বা ‘সল্ট থেরাপি’ করে বলে মত অনেকের। এর পাশাপাশি ত্বকের নানা রোগও সারাতে পারে সল্ট থেরাপি। এমনকি অনেকের মত, উদ্বেগ বা অবসাদের সমস্যার নিরাময়ও হতে পারে এতে।
লবনের থেরাপির প্রকারভেদ:
সাধারণত দু’রকম ভাবে সল্ট থেরাপি করা হয়। একটি শুকনো, অন্যটি আর্দ্র। শুকনো থেরাপি এ ক্ষেত্রে কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা লবনের ঘরে কাউকে বসানো হয়। ভিতরকার বাতাসে থাকা লবন শ্বাসের সঙ্গে তাঁর ফুসফুসে যায়। ফুসফুসের নানা রোগ প্রতিরোধ করে এবং শ্বাসনালির মিউকাস পরিষ্কার করে শ্বাসপ্রশ্বাসের পথ পরিষ্কার করে। নোনা বাতাস ত্বকের মধ্যে প্রবেশ করে, সেখানকার নানা সংক্রমণও আটকায়। আর্দ্র বা ভেজা থেরাপি এই ভাবে লবনের থেরাপি নেওয়াটা নতুন কিছু নয়। লবন পানিতে কুলকুচি করা বা গোসলের পানিতে লবন মিশিয়ে তা দিয়ে গোসল করা এর মধ্যে পড়ে। তবে মনে রাখা দরকার, এই থেরাপির সাহায্য নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎকের পরামর্শ নিতে হবে। বিশেষ করে শুকনো লবনের থেরাপিতে কত ক্ষণ থাকা উচিত, তা চিকিৎসকের থেকে ভাল করে জেনে নিতে হবে।
এসএফ