||বঙ্গকথন প্রতিবেদন||
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের ৮ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে বাবরের জ্ঞাত আয় বর্হিভূতভাবে অর্জিত ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৮ টাকাসহ তার প্রাইম ব্যাংক গুলশান শাখার মালিকানাধীন ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর আগে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসির দণ্ডাদেশ পেয়েছেন লুৎফুজ্জামান বাবর।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম এই রায় দেন। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় দোষী সাব্যস্তক্রমে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও একই আইনের ২৭(১) ধারায় দোষী সাব্যস্তক্রমে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে বাবরকে। তবে এ দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।
২০০৭ সালের ২৮ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদে যৌথবাহিনীর হাতে আটক হওয়া লুৎফুজ্জামান বাবরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলাটি ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি রমনা থানায় দায়ের করা হয়। মামলাটি করেন সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৬ জুলাই দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক রূপক কুমার সাহা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে বাবরের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদ রাখার অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি দুদকে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১২ টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করেছিলেন। তার অবৈধ সম্পদের মধ্যে প্রাইম ব্যাংক এবং এইচএসবিসি ব্যাংকে দুটি এফডিআর-এ ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকা এবং বাড়ি নির্মাণ বাবদ ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৮ টাকা গোপনের কথা উল্লেখ করা হয়।২০০৮ সালের ১২ আগস্ট আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। জেটি/এমএইচ