প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খাওয়ানোর জন্য ১৭ হাজার ২৯০ কোটি ২২ হাজার ৫৯ কোটি টাকার বিশাল প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তোলা হয়েছিল আজ।
মঙ্গলবার (১ জুন) দুপুরে একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খাবার দেয়ার ‘প্রাইমারি স্কুল মিল’ প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন দেয়া হয়নি। রান্না করা খাবারের পরিবর্তে অন্য কোনো উপায়ে খাবার দেয়া যায়, সেটা বিবেচনা করে পুনরায় প্রকল্পটি আনার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এত বড় প্রকল্প সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই একনেকে অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব করেছিল পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ।
প্রকল্প সূত্র বলছে, সারাদেশের ৮ বিভাগের ৬৪ জেলার ৪৯২ উপজেলা ও ২১টি শিক্ষা থানায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খাবার দিতে ১৭ হাজার ২৯০ কোটি ২২ হাজার ৫৯ কোটি টাকার প্রকল্পটি একনেকে তোলা হয়েছিল।
প্রকল্পটির উদ্দেশ্য ছিল ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়া সকল শিক্ষার্থীকে পর্যায়ক্রমে স্কুল মিল কার্যক্রমের আওতায় এনে তাদের শিক্ষা, পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তায় অবদান রাখা। নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার সরবরাহের মাধ্যমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করা। প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমানো এবং ভর্তি ও উপস্থিতির হার বাড়ানো।