||বঙ্গকথন প্রতিবেদন||
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫ তম জন্মদিবস আজ ২৮ সেপ্টেম্বর। ১৯৪৭ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেসা দম্পতির জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনা প্রধম দফায় ৫ বছর এবং পরের দফায় গত এক যুগ ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। এরপর দীর্ঘ যাত্রায় পার করেছেন নানা চড়াই-উৎরাই। কারাভোগ করেছেন,একাধিকবার গৃহবন্দীও ছিলেন। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চারবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন শেখ হাসিনা। চার দশক ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসএসসি পাস করেন ঢাকার আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সরকারি ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজের ছাত্রী সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) ছিলেন। তিনি এই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরের বছর সভাপতি ছিলেন। শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একজন সদস্য এবং ছাত্রলীগের রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
ছাত্রজীবন থেকেই শেখ হাসিনা সব গণআন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা ঘাতকদের গুলিতে নিহত হন। সে সময় পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় বেঁচে যান শেখ হাসিনা ও ছোট বোন শেখ রেহানা। ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষ করে অবশেষে তিনি ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসেন।
দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে লিপ্ত হওয়ার পরপরই তিনি শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পড়েন। বারবার কারান্তরীণ করা হয় তাকে। তাকে হত্যার জন্য কমপক্ষে ২২ বার সশস্ত্র হামলাও করা হয়। ১৯৯৬ সালে তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে। প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন শেখ হাসিনা। এরপর ২০০৮ সালে দ্বিতীয়, ২০১৪ সালে তৃতীয় ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন তিনি।