||বঙ্গকথন প্রতিবেদন||
জেলা পুলিশের মধ্যস্থতায় শেষ পর্যন্ত বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভোটগ্রহণের ভেন্যু নিয়ে চলমান বিরোধের নিরসন হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে মোটর শ্রমিকদের দুই পক্ষের নেতারা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ভোটগ্রহণের ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন। তারা নির্বাচনী পরিবেশ শেষ পর্যন্ত স্বাভাবিক ও শান্তিপূণ রাখার লক্ষ্যে উভয় পক্ষ জেলা পুলিশের কাছে ১১ দফা অঙ্গীকারনামাও দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভা। দীর্ঘ সময় পর সাধারণ সভা এবং নির্বাচনকে ঘিরে সপ্তাহ কয়েক ধরেই উত্তেজনা ছিলো সংগঠনের দুটি পক্ষের মধ্যে। বার্ষিক সাধারণ সভার ভেন্যু নির্ধারণ হলেও নির্বাচনে ভোটগ্রহণের ভেন্যু নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ প্রকাশ্যে রূপ নিয়ে গেলো কয়েক সপ্তাহ ধরেই। যে কারনে ৭ অক্টোবরের বার্ষিক সাধারণ সভায় ভোটগ্রহণের ভেন্যু নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির শঙ্কাও ছিলো অনেকের।
সম্প্রতি পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী মোটর শ্রমিকদের দুই পক্ষের বিরোধ নিরসনের উদ্যোগ নেন। তার মধ্যস্থতায় মঙ্গলবার পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন দুই পক্ষের নেতারা। জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী জানান, বৈঠকে একটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ভোটগ্রহণের ব্যাপারে দুই পক্ষের আর কোনো আপত্তি নেই। প্রাথমিকভাবে বগুড়া জিলা স্কুলে ভোটগ্রহণের ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন উভয়পক্ষই। ৭ অক্টোবর বার্ষিক সাধারণ সভায় তারা সেটি চূড়ান্ত করবেন। এসময় দুই পক্ষের নেতারা এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে ১১টি শর্ত সম্বলিত একটি অঙ্গীকারনামা স্বাক্ষর করে তা পুলিশ সুপারের কাছে জমা দেন।
বৈঠকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুর রশীদ, বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম রেজা, বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল হামিদ মিটুল, সহ-সভাপতি কামরুল মোর্শেদ আপেল, সাধারণ সম্পাদক সামছুদ্দিন শেখ হেলাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠুসহ দুই পক্ষের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচ//