।। ডক্টর’স চেম্বার প্রতিবেদন।।
ব্রেস্ট ক্যান্সার একটি নীরব মারাত্নক প্রাণঘাতী রোগ। বেশিরভাগ সময় চক্ষুলজ্জায় অনেকে গোপন করে যান বিষয়টি । আবার অজ্ঞতার এবং অসচেতনতার কারণে রোগটি শনাক্তে অনেক দেরি হয়ে যায়।
প্রচলিত ধারণা হলো, এই রোগটিতে শুধু নারীরাই আক্রান্ত হয় কিন্তু নারীদের পাশাপাশি পুরুষরাও এখন আক্রান্ত হচ্ছেন স্তন ক্যানসারে । তবে নারীর চাইতে পুরুষের শরীরে ব্রেস্ট ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা কম।
পুরুষের খুব কম পরিমাণে স্তন টিস্যু রয়েছে। একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের স্তন বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছানো বালিকার মতো এবং স্তনের আশপাশে স্ফিত মাংস ও অন্যান্য টিস্যু থাকে।যেহেতু পুরুষেরও স্তন টিস্যু রয়েছে তাই তাদেরও স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বস্তুত পুরুষের স্তন ক্যান্সার এবং উপসর্গগুলো ঠিক মেয়েদের স্তন ক্যান্সারের অনুরূপ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ৬০ থেকে ৭০ বছর বয়সীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সার ধরা পড়েছে।
আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির হিসাব মতে, ২০০৯ সালে ২ হাজার ৩শ’ জন পুরুষের স্তন ক্যান্সার ধরা পড়েছে।
পুরুষের স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে যদি কোনো ওষুধ বা হরমোন চিকিৎসা নেয়ার কারণে অথবা সংক্রমণ ও বিষক্রিয়ার কারণে স্তন অস্বাভাবিক বড় হয়ে যায়। স্তনের এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলে গাইনেকোমাসশিয়া। আবার জিনগত সমস্যার কারণে হতে পারে যাকে বলে ক্লিনেফেল্টার সিনড্রোম ।
এছাড়াও যেসব পুরুষের যকৃতের গুরুতর সমস্যা থাকে তাদের পুরুষ হরমোন যেমন অ্যান্ড্রোজেন নিঃসরণ কমে যায় কিন্তু স্ত্রী হরমোন যেমন এস্ট্রোজেন নিঃসরণ বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রেও স্তনের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটতে পারে এবং ক্যান্সার প্রবণতাও বাড়তে পারে।পুরুষের খুব কম পরিমাণ স্তন টিস্যু থাকার কারণে এমন অস্বাভাবিকতা ধরতে বেশ সময় লেগে যায়। আর এ কারণে টিউমাররূপী ক্যান্সারটি টিস্যুর চারপাশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
চিকিৎসক ডা. শরমিন আক্তার সুমির পরামর্শ, বিশ বছর বয়সের পর সবাইকে প্রতিমাসে একবার নিজে নিজে পরীক্ষা করা উচিত। চল্লিশের পরে প্রতি দুবছর অন্তর একবার উচিত মেমোগ্রাম করা, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে যার ব্যবস্থা আছে।
এসএ//এমএইচ