||বঙ্গকথন প্রতিবেদন||
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৫০ সাল থেকে বিশ্বে পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। “ঘুরে দাঁড়াবো আবার, সবার জন্য মানবাধিকার”- এ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
শুক্রবার বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশে সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৭২-এর সংবিধানে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সকল মানবাধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। আমাদের সংবিধান জাতিসংঘ ঘোষিত সর্বজনীন মানবাধিকারের সঙ্গে পুরোপুরি সঙ্গতিপূর্ণ। এছাড়াও আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বাংলাদেশ তিনবার জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছে।
প্রধামন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও মানবাধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশের সাফল্য প্রশংসিত হচ্ছে। আমরা মিয়ানমারে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তাসহ নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে বিশ্ব সম্প্রদায়কে সম্পৃক্ত করে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
মানবাধিকার সুরক্ষার লক্ষ্যে কমিশনকে আধুনিকায়ন করা ও কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সক্ষমতা এবং সুযোগ সুবিধা বাড়ানোসহ সব ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উদ্যোগে ১০ ডিসেম্বর ‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
এসএ//এফএস