||খেলার মাঠ প্রতিবেদন||
পাকিস্তানের ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা ক্রিকেটার তিনি। দেশটির সেরা অধিনায়কের ছোট্ট তালিকাতেও থাকবে তার নাম। ১০৯টি ম্যাচে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি, নিয়ে গিয়েছিলেন ১৯৯৯ বিশ্বকাপের ফাইনালেও। কিন্তু পাকিস্তান কোচের পদটাকে বেশ সমঝেই চলেন তিনি। কোচেদের চাপই তাকে দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে দূরে ঠেলে দেয়, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন সাবেক পাকিস্তানি পেসার।
পাকিস্তান হোক, ভারত কিংবা বাংলাদেশ, উপমহাদেশের ক্রিকেট দলগুলো যেন সবসময়ই থাকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভালো করলে বাহবা তো মিলবেই, খারাপ করলে সমালোচনাও পিছু ছাড়ে না ক্রিকেটার, কোচ এমনকি নির্বাচকদেরও। সম্প্রতি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তুলনামূলক খারাপ পারফর্ম্যান্সের জন্য যেমন সমালোচনা সহ্য করতে হচ্ছে পাকিস্তানকে। তোপের মুখে পড়েছেন কোচ-ক্রিকেটাররা। ওয়াসিম জানালেন, এই চাপের কথা ভেবেই কখনো পাকিস্তানের কোচ হতে চান না তিনি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ওয়াসিম আরও জানিয়েছেন, কোচের দায়িত্ব শেষ নয় এখানেই। বললেন, ‘কোচ হলে দলকে নিয়ে বছরে ২০০-২৫০ দিন ব্যস্ত থাকতে হয়। সেটা খুব কঠিন কাজ। পাকিস্তান বা নিজের পরিবার-পরিজন ছেড়ে এতদিন বাইরে থাকার কথা ভাবতেই পারি না।’
শুধু তাই নয়, খারাপ খেললে কোচের প্রতি যে ব্যবহার করা হয়, সেটাও ওয়াসিম পাকিস্তানের কোচিংয়ে না আসার একটা কারণ। তবে এর বাইরে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে অবশ্য কাজ করেছেন তিনি। কলকাতা নাইট রাইডার্সের সাবেক বোলিং কোচ ছিলেন। এরপর পিএসএলে বিভিন্ন দলের হয়ে কাজ করেছেন তিনি। তারপরও পাকিস্তান দলের দায়িত্ব নেননি।
‘আমি বোকা নই। মাঝে মাঝেই শুনি কোচ বা ক্রিকেটারদের সঙ্গে মানুষ খারাপ ব্যবহার করেছে। কোচ কিন্তু মাঠে নেমে খেলে না। সে শুধু পরিকল্পনা করে। তাই দল হারলে সেই দায় শুধু কোচের উপরে বর্তায় না। এই কারণে আমি ভীত। আমি এ ধরনের আচরণ সহ্য করতে পারি না।
তবে এর বাইরে কোনো খেলোয়াড়ের সাহায্যের প্রয়োজন পড়লে তার দুয়ার সবসময় খোলা, জানালেন ওয়াসিম । ‘পাকিস্তানের বেশিরভাগ ক্রিকেটারই পিএসএলে খেলে। তাদের সবার কাছেই আমার নাম্বার আছে। কারো প্রয়োজনে সাহায্য করতে আপত্তি নেই আমার।’
আরআই