||বঙ্গকথন প্রতিবেদন||
ব্যবসার কাজে বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ভাসু বিহার এলাকার পান ব্যবসায়ী মোফাজ্জল হোসেন। স্ত্রী রাশেদা বেগম এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পর পুলিশ মোফাজ্জল হোসেনের সন্ধানে নামে। তদন্তে বেরিয়ে আসে তার প্রতিবেশী রুবেল পাওনা টাকা দেয়ার নামে তাকে অপহরণ করে, পরে হত্যা করে মরদেহ ফেলে দেয় ঢাকার আশুলিয়া এলাকায়। ২২ দিন পর শুক্রবার শিবগঞ্জ থানা পুলিশ মোফাজ্জলের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে সেখান থেকে।

শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, নিখোঁজ পান ব্যবসায়ীর সন্ধান করতে গিয়ে তারা জানতে পারেন প্রতিবেশী রুবেলের কাছ থেকে মোফাজ্জল বেশ কিছু টাকা পেতেন। তিনি নিখোঁজের পর থেকে রুবেলেরও কোনো সন্ধান মিলছিলো না। শেষপর্যন্ত গত বৃহস্পতিবার লালমনিরহাট থেকে রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। একপর্যায়ে রুবেল পুলিশকে জানান,
২০ আগস্ট বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাবার পর মোফাজ্জলকে পাওনা টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে উপজেলার মোকামতলা বাজারে ডেকে নেন তিনি। এরপর তার শ্বশুর আবদুস সামাদ এবং আরেক সহযোগী মিলনের সহযোগিতায় মোফাজ্জলকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করেন। ওইদিন সন্ধ্যায় ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় যমুনা গ্রুপের একটি ফাঁকা জায়গার কাঁশবনে নিয়ে মোফাজ্জলকে হত্যা করেন তারা তিন জন। পরে মরদেহ সেখানে ফেলে রেখে তারা বিভিন্ন এলাকায় গা ঢাকা দেয়।
ওসি আরো জানান, শুক্রবার বিকেলে রুবেলের দেখানো স্থান থেকে মোফাজ্জল হোসেনের গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে আবদুস সামাদ এবং মিলনকেও।
এসএ//এমএইচ//