।। বঙ্গকথন প্রতিবেদক।।
পরীমনির হাতের তালুতে মেহেদী দিয়ে লেখা ডোন্ট লাভ মি বিচ “ সকলের ভিতরে একটি রহস্যময় প্রশ্ন তৈরি করে দেয়। অনেকেই গুগল কিংবা ডিকশনারি নিয়ে বসে যান রহস্যের উন্মোচন করার জন্য , যুথসই অর্থ খুঁজতে গিয়ে মনে জাগে নানা প্রশ্ন।

ঘটনাটি বুধবার সকাল সাড়ে নটার। কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে কারাফটকের সামনে ছাদখোলা গাড়িতে দাড়িয়ে পরীমনি হাতের তালুতে মেহেদী দিয়ে লেখা “ ডোন্ট লাভ মি বিচ “ প্রদর্শন করেন জনসম্মুখে। পরী অপেক্ষমান ভক্তদের জন্য যখন হাত তুলে ভালবাসার জবাব দেন তখন সকলের নজরে আসে বিশেষ এই লেখাটি। শুরু হয়ে যায় নানা গুঞ্জন। বিচ বলতে কাদেরকে বুঝিয়েছেন তিনি ? আসলে এর যথার্থ অর্থ কি বোঝাতে চেয়েছেন পরী। এরকম নানা রকম চিন্তার জায়গা তৈরি হয় পরীমনির এই লেখাটিকে ঘিরে। রহস্যময় সকল জট খুলে এইবার ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’ এর অর্থ জানালেন পরী।

মন খোলাসা করে সবার মনের কোণে জমে থাকা সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন পরী। এটা তিনি ‘বিচ’দের উদ্দেশ্যেই বলেছেন। পরীমনি বললেন, ‘যারা বিচ তাঁদেরকে উদ্দেশ্যে করেই এমন কথা বলেছি। লেখাটা পড়ে যাঁদের মনে হবে, আল্লাহ, আমাকে নিয়ে এটা লিখল—তাঁদের উদ্দেশ্যেই এই লেখা। ওদের তালিকা তো আমি নাম ধরে বলতে পারব না। আমাকে আটক, গ্রেপ্তার এবং কারাগারের নিয়ে যাওয়ার পর তাদের জীবন সার্থক মনে হয়েছে। তারা আনিন্দত হয়েছে।কেউ কেউ তো খুশিতে নাচাও শুরু করেছে। যেই আমি ফিরে আসছি, অনেকে আবার মিস ইউ, লাভ ইউ বলা শুরু করছে। এই ধরনের ভালোবাসা আমার দরকার নাই। আমি তাদেরকেই বলেছি, তোমরা আমাকে ভালোবাইসো না। আমি যাদের জন্য পরীমনি, যারা সত্যি সত্যি আমাকে অন্তরের মধ্যে বসাইয়ে রাখছে, তাদের আমি সব সময় ভালোবাসি। আজীবন ভালোবাসি।’
২৭ দিন কারাগারে থাকার পর গতকাল ১ সে্প্টেম্বর গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সাহসী নারীর মতোই বের হয়ে আসেন পরী। ২০ হাজার টাকা মুচলেকা দিয়ে জামিনে মুক্ত হয়ে নিজ বাসায় ফিরে ডোন্ট লাভ মি বিচের রহস্যের জট খুলে দেন পরীমনি।