রাজধানীর কদমতলীর মুরাদপুর লাল মিয়া সরকার রোডের একটি বাসা থেকে বাবা, মা ও বোনকে হত্যার ঘটনায় মেহজাবিন মুনকে (২৪) আটক করেছে পুলিশ। ওই পরিবারের শিশুসহ আরও দুজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
মৃত্য তিনব্যাক্তি হলেন, মাসুদ রানা (৫০), তাঁর স্ত্রী মৌসুমি ইসলাম (৪৫) ও মেয়ে জান্নাতুল (২১)। উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি দুইজন হলেন, মেহজাবিনের স্বামী শফিকুল ইসলাম ও তাঁদের পাঁচ বছরের মেয়ে মার্জান তাবাসসুম।
পুলিশ বলছে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন বড় বোন মেহজাবীন মুন। মা-বাবাসহ ছোট বোনকে হত্যা করে ৯৯৯-এ ফোন দেন তিনি নিজেই। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কদমতলীর মুরাদপুর হাজী লাল মিয়া সরকার রোড এলাকা থেকে স্বামী, স্ত্রী ও মেয়ের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে। আটক মেহজাবিন থাকেন আলাদা বাসায়। মায়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন তিনি।
শনিবার (১৯ জুন) বিকেলে কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ জানান, কদমতলীর মুরাদপুর এলাকায় একই পরিবারের তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় একজনকে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিষ ও নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে তাদের হত্যা করা হয়।
এসআই বলেন, নিহতের বড় মেয়ে মেহজাবিন সকালে ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে বলেন, ‘মা-বাবা ও ছোট বোনকে হত্যা করেছি। আপনারা আসেন। এসে আমাকে ধরে নিয়ে যান।’
সূত্রে জানা যায়, গত দুইদিন আগে স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে মায়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে মেহজাবিন তার বাবা মার কাছে অভিযোগ করে তার ছোট বোন জান্নাতুলের সাথে তার স্বামীর পরকীয়া চলছে। এ নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। তার জেরেই হয়তো তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর বলেন, সকালে আমরা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে