||যাপিত জীবন প্রতিবেদন||
উচ্চ রক্তচাপ যেমন শরীরের জন্য ক্ষতিকর তেমনি রক্তচাপ কম হলেও তা দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। একজন সুস্থ মানুষের রক্তচাপ হলো ১২০/৮০। রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে কম হলে হৃদপিন্ড,মস্তিষ্ক ও শরীরের অন্যান্য অংশে রক্ত প্রবাহ কমে যায়। এতে করে মাথা ঘোরা, মাথা ঝিমঝিম করা, দুর্বলতা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
আপনার শরীরের যদি কয়েকটি লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করতে হবে। মাথা ধরা, মাথা ঘোরা, অবসাদ, বমি বমি ভাব, দৃষ্টি শক্তি কমে যাওয়া, ফ্যাকাসে স্কিন কিংবা জ্ঞান হারানো- এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করতে হবে। সেই সাথে প্রাত্যাহিক জীবনযাত্রায় কয়েকটি বিষয় মেনে চলতে হবে।

কাঠ বাদাম: সারা রাত ৬/৭ টা কাঠ বাদাম (আমন্ড) ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে পেস্ট করে এরসাথে গরম দুধ মিশিয়ে খেয়ে নিন। এই দুধ আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবে। কোনোরকম স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা কোলেস্টরেল এই দুধে থাকবে না। এজন্য নিশ্চিন্তে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
অল্প করে বারবার খাওয়া: একবারে বেশি না খেয়ে অল্প অল্প করে দিনে কয়েকবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে খুব ক্ষুধা কখনোই লাগবে না আর অসুস্থতা বোধও হবে না। প্রয়োজনে দিনে ৬ বার খাওয়ার অভ্যাস করুন।

তুলসি পাতা: তুলসি পাতায় ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম রয়েছে। এই উপাদানগুলো রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে ৪/৬টি তুলসিপাতা চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করে তুলুন।
লবণ খাওয়া: লবণ খাওয়া শরীরের জন্য খারাপ মনে হলেও একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ পর্যন্ত লবণ খাওয়া সবার উচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, প্রতিদিন একজন মানুষের এক চা চামচ লবণ খাওয়া উচিত। তা হতে পারে ফল বা সবজির সাথে। লবণকে খাদ্য তালিকা থেকে একেবারে বাদ দিয়ে সুস্থ থাকা যাবে না। গরমের সময় লেবু পানিতে লবণ দিয়ে খেয়ে ফেলুন শরীর ভালো থাকবে।
তরল জাতীয় খাবার: দিনে পর্যাপ্ত পানি খাওয়ার চেষ্টা করুন। সেই সাথে ডাবের পানি, বেলের শরবত বা মৌসুমি কোন ফলের শরবত খেতে পারেন। যাদের নিম্ন রক্তচাপ তাদের জন্য বেদানার শরবত খুব কার্যকর।
ক্যাফেইন: চা-কফি খেলে তাৎক্ষণিকভাবে রক্তচাপ কমে, তবে তা সাময়িকভাবে। যদিও এর পিছনের সঠিক ব্যাখ্যা সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায় নি।
এফএস//এমএইচ