||বিদেশ-বিভূঁই প্রতিবেদন||
পাকিস্তানের একটি আদালত ধর্ম অবমাননার অপরাধে সালমা তানভীর নামের এক নারীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। সালমা লাহোরের নিশতার কলোনির একটি বেসরকারি স্কুলের অধ্যক্ষ ছিলেন। লাহোরের একটি জেলা ও দায়রা আদালত সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে এবং ৫ হাজার রুপি জরিমানা করেছে। বিচারক রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, মোহাম্মদ (সা.) ইসলাম ধর্মের শেষ নবী নন বলে ধর্ম অবমাননা করেছেন সালমা তানভীর। এ ছাড়া তিনি নিজেকে ইসলামের একজন নবী বলেও দাবি করেছেন।

পাকিস্তানের ইংরেজি গণমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানাচ্ছে, লাহোর পুলিশ ২০১৩ সালে স্থানীয় এক আলেমের অভিযোগের ভিত্তিতে তানভীরের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার মামলা দায়ের করেছিল। তার বিরুদ্ধে নবী মোহাম্মদকে (সা.) শেষ নবী হিসেবে স্বীকার না করার অভিযোগ ছিলো এবং তিনি নিজেকে ইসলামের একজন নবী বলে দাবি করেছিলেন। সালমা তানভীরের আইনজীবী মোহাম্মদ রমজান বলেন, তার মক্কেল ‘অস্থির মনের মানুষ’। আদালতকে এই বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া উচিত ছিল। তবে আদালতে দাখিল করা পাঞ্জাব ইন্সটিটিউট অফ মেন্টাল হেলথের এক মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি মানসিকভাবে বিকৃত না হওয়ায় বিচারের জন্য উপযুক্ত।
পাকিস্তানের বিতর্কিত ধর্ম অবমাননা আইন এবং তাদের নির্ধারিত শাস্তি অত্যন্ত গুরুতর। ১৯৮৭ সাল থেকে পাকিস্তানে এই আইনে কমপক্ষে ১৪৭২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। ব্লাসফেমি আইন ঔপনিবেশিক যুগ থেকেই প্রচলিত ছিল। কিন্তু সাবেক স্বৈরশাসক জেনারেল জিয়াউল হক এই আইনে সংশোধন এনে শাস্তির তীব্রতা বাড়িয়েছেন।
এমএইচ//