||বিদেশ-বিভূঁই প্রতিবেদন||
আফগানিস্তানে নারীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, ইসলামিক পরিবেশ সৃষ্টির আগে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে অংশ নিতে পারবেন না-এমন খবরকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে জানিয়েছে আফগান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, এই খবর মিথ্যা। নারী শিক্ষক বা শিক্ষার্থীদের পাঠদান বা গ্রহণে কোনো বাধা নেই। তারা আগের মতোই ক্লাসে অংশ নিচ্ছেন।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিয়ো নিউজ এ বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কথা বলেছে আফগান সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে। তারা জানিয়েছেন, নারীরা আগের মতোই পাঠদান কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব ও মিথ্যা। এর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিলো, আফগানিস্তানে নারীদের জন্য উপযুক্ত ইসলামিক পরিবেশ গড়ে না ওঠা পর্যন্ত তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। এ নিয়ে পশতু ভাষায় লেখা কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য মোহাম্মদ আশরাফ ঘাইরাতের এক টুইটকে উদ্ধৃত করে এসব খবর প্রকাশিত হয়। সেখানে নারীদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ চলছে বলে জানানো হলেও, কবে নারীরা ক্লাসে অংশ নিতে পারবেন তার উল্লেখ ছিলো না।
তবে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বলছেন, ওই টুইটার অ্যাকাউন্টটি ভুয়া। ভুয়া এসব টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে মিথ্যা খবর প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলেও দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। তারা আরো জানায়, কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপাচার্য আশরাফ ঘাইরাতের অ্যাকাউন্ট নেই। এ নিয়ে কোনও তথ্য নিতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট থেকে নেয়া উচিত।
কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই দাবির পর পশ্চিমা গণমাধ্যমের অপপ্রচারের প্রশ্নটি ফের সামনে এসেছে। একই সাথে ইচ্ছাকৃতভাবে আফগান পরিস্থিতি নিয়ে ভুল তথ্য প্রচারে সক্রিয় একটি গোষ্ঠীর ভূমিকা উন্মোচিত হলো বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এমএইচ//