||সংস্কৃতির মঞ্চ প্রতিবদেন||
দরদী গলায় গান গেয়ে অজস্র মানুষকে মোহিত করা সংগীতশিল্পী ও বাঁশিবাদক আবদুল বারী সিদ্দিকীর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৭ সালের এই দিনে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ৬৩ বছর বয়সে মারা যান লোকসংগীতের এই বরেণ্য ব্যক্তিত্ব।

বিখ্যাত গীতিকার বারী সিদ্দিকী ১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর নেত্রকোনায় জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ১২ বছর বয়সে ওস্তাদ গোপাল দত্তের কাছে সংগীতের তালিম শুরু হয় তার। পরে ওস্তাদ আমিনুর রহমান, দবির খান, পান্নালাল ঘোষসহ অসংখ্য গুণী শিল্পীর সান্নিধ্য লাভ করেন তিনি। ভারতেও গানের তালিম নিয়েছেন এই গুণী শিল্পী। পরে বাঁশির ওপর উচ্চাঙ্গসংগীতে প্রশিক্ষণ নেন তিনি।
১৯৯৫ সালে কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের ‘রঙের বাড়ই’ নামে একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে প্রথম সংগীত পরিবেশন করেন বারী সিদ্দিকী। ১৯৯৯ সালে একই লেখকের রচনা ও পরিচালনায় নির্মিত ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ চলচ্চিত্রে প্লেব্যাকের সুযোগ পান। ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’, ‘শোয়া চান পাখি’, ‘অপরাধী হইলেও আমি তোর’, ‘মাটির দেহ’, ‘ভাদ্র মাসের পূর্ণিমা’সহ তার বহু জনপ্রিয় গান রয়েছে।
১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে জেনেভায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব বাঁশি সম্মেলনে ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বারী সিদ্দিকী।
এসএ//এফএস