||সংস্কৃতির মঞ্চ প্রতিবেদন||
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির এক গ্রাহকের করা প্রতারণার মামলায় যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন অভিনয়শিল্পী তাহসান রহমান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়া।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান ১০ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন। রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় ৪ ডিসেম্বর প্রতারণার এই মামলাটি করেন ইভ্যালির গ্রাহক সাদ স্যাম রহমান।
‘যাঁদের নাম দেখে ইভ্যালিতে যুক্ত হয়েছিলাম, তাঁদের নাম বলতে পারব না। তাঁদের নাম বললে তো বাংলাদেশেই থাকতে পারব না।’ ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির এক গ্রাহকের করা মামলার বিষয়টি নিয়ে কথা বলার একপর্যায়ে এমনটাই বললেন জনপ্রিয় গায়ক ও অভিনয়শিল্পী তাহসান খান।
কথায় কথায় তাহসান বললেন, ‘আমি শুনেছি ইভ্যালির ৪০ লাখ গ্রাহক, যে কোম্পানিতে আমি যুক্ত হওয়ার আগেই ৪০ লাখ মানুষ যুক্ত, যে কোম্পানির সঙ্গে দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান যুক্ত, দেশের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত, সেখানে আমি শুভেচ্ছাদূত হয়ে মাত্র দুটি ফেসবুক লাইভ করেছি। আমি কিন্তু বিজ্ঞাপনও করিনি। আর আমি বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করলে যেকোনো প্রতিষ্ঠানের করতেই পারি। কারণ, তখন তো লিগ্যাল কোম্পানি। আমি আবারো বলছি, আমাকে স্পষ্ট বলা হয়েছিল, আপনারা কেন আমাদের সঙ্গে যুক্ত হবেন না?
তিনি আরো বলেন, আমি ক্ষমতার বলয়ের বাইরের মানুষ। আমি একজন সংস্কৃতিকর্মী। মামলা যেহেতু হয়েছে, এখন আমাকে আমার মতো আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’
মামলার খবরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাহসান খান বিব্রত বলে জানিয়ে তিনি বললেন, ‘ভক্তদের ভালোবাসাই জাস্ট আমার ক্ষমতা। ভক্তদের ক্ষমতা ছাড়া তো আর কোনো ক্ষমতা নেই। ভক্তরা যেন আমাকে ভুল না বোঝেন। একদিন হয়তো পুরো ঘটনা নিয়ে আমি কোনো বইয়ে লিখব। যতটুকু পারি, ততটুকু গল্পটা বলব আরকি।’
এসএ//এফএস