||বিদেশ-বিভূঁই প্রতিবেদন||
দক্ষিণ আফ্রিকার আর্চবিশপ শান্তিতে নোবেলজয়ী ডেসমন্ড টুটু গতকাল মারা গেছেন। বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের এই নেতার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। জনপ্রিয় ওই নেতার মৃত্যুতে দক্ষিণ আফ্রিকাজুড়ে নেমেছে শোকের ছায়া। দেশটির সঙ্গে যোগ দিয়েছে বিশ্ববাসী। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা।

১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ডেসমন্ড টুটুর রাষ্ট্রীয়ভাবে শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে। মহান এই নেতার মৃত্যুতে এক সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন আয়োজন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। রক্তিম আলোয় সাজানো হয়েছে কেপটাউন সিটি হল। সোমবার এ খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বশেষ বর্ণবাদী শাসনের সময়কার প্রেসিডেন্ট এফ ডব্লিউ ডি ক্লার্কের মৃত্যুর মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরেই মারা গেলেন টুটু’।
দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকাকে স্বাধীন হতে সাহায্য করেছেন টুটু।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘ঈশ্বরের পাঠানো জনগণের জন্য একজন সত্যিকার দূতের এই চলে যাওয়ার খবরে হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে। টুটুর রেখে যাওয়া লিগ্যাসি সীমানা অতিক্রম করে যাবে এবং যুগে যুগে প্রতিধ্বনিত হবে’।
অন্যদিকে টুটুকে একজন সত্যিকার পরামর্শদাতা, বন্ধু এবং নৈতিকতার একটি কেন্দ্র হিসেবে বর্ণনা করেছেন বারাক ওবামা। টুটুর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করে তাকে স্মরণ করেছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। এছাড়া টুটুর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছে নেলসন ম্যান্ডেলা ফাউন্ডেশন।
ডেসমন্ড টুটুর মৃত্যুতে রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার সব বয়সের মানুষ কেপটাউনে অবস্থিত সেইন্ট জর্জেস ক্যাথেড্রালমুখী হয়েছেন। তারা সেখানে ফুল দিয়ে এই নেতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন।
এসএ//এফএস